ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের আসন্ন নির্বাচনে ভোট ডাকাতির আশঙ্কা প্রকাশ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ইতিমধ্যে দেশবাসী দেখেছে চট্টগ্রাম-৮ আসনে উপ-নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট ডাকাতি উৎসব। চট্টগ্রামে ডিজিটাল ভোট ডাকাতির প্রস্তুতি ম্যাচ সম্পন্ন করেছে সরকার। আওয়ামী সন্ত্রাসী এবং সরকারের পেটোয়া বাহিনী সবগুলো ভোটকেন্দ্র থেকে বিএনপির এজেন্টদের বের করে দিয়ে নিঃশব্দে, নিভৃতে এবং নীরবে ইভিএমে ভোট ডাকাতি করেছে। এবার ৩০ জানুয়ারি চূড়ান্ত ভোট ডাকাতির প্রস্তুতি চলছে ঢাকার দুই সিটিতে।
লিখিত বক্তব্যে রিজভী বলেন, ইভিএম দিয়ে ডিজিটাল ভোট ডাকাতির মহড়া হলো গত ১৩ জানুয়ারি চট্টগ্রাম-৮ আসনের শূন্য আসন এবং হাইমচরের উপজেলা নির্বাচন ভোটে। যা ছিল প্রস্তুতি ম্যাচ। সেখানে প্রমাণিত হয়েছে ভোটার ছাড়াই ইভিএমে নৌকার প্রার্থীদের কিভাবে পাস করানো সহজ। গত ২৯ ডিসেম্বরে মিডনাইট ইলেকশনের পর গোটা বিশ্বের নিন্দা ও ধিক্কারের ঝড় সামলাতে না পেরে এই অবৈধ গণবিচ্ছিন্ন সরকার দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ,বিদ্ব্যৎজন, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংস্থা এবং সরকারি দল ছাড়া প্রায় সব রাজনৈতিক দলগুলোর আপত্তি থোড়াই কেয়ার করে ইভিএম মেশিন দিয়ে ভোট ডাকাতির কৌশল নিয়েছে। তারা জানে, এখন কোনো নির্বাচনের আগে রাতে ভোট দেয়া শুরু করলে আর কেউ না হোক সাংবাদিকরা সেখানে উপস্থিত হয়ে যাবেন। অতএব এবার তাদের আরেকটি নতুন পন্থা উদ্ভাবন করতে হয়েছে। সেটা হলো এই ইভিএম।
তিনি বলেন, কার্যত ইভিএমে সুষ্ঠু ভোটের ন্যুনতম সুযোগ নেই। ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনও চট্টগ্রামের মতো দখলের নীলনকশার প্রস্তুতি কি না তা নিয়ে জনমনে সংশয় দেখা দিয়েছে। ঢাকাতেও সন্ত্রাসী কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, প্রচারণার সময়ে গ্রেফতার অভিযান করবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। এখন গ্রেফতার চলছে, অভিযানও চলছে, আক্রমণ চলছে, হামলা চলছে এবং হামলার মাধ্যমে একটা ভয়ভীতির পরিবেশ তারা সৃষ্টি করেছে। প্রতিনিয়ত নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করছে সরকারি দলের প্রার্থীরা।
বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করে তিনি বলেন, ৭৫ বছর বয়স্ক দেশনেত্রীর জীবন প্রতি মূহুর্তে শংকার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সরকারের মদদে তার গুরুতর অসুস্থতা গোপন করা হচ্ছে। তিনি এখন কি অবস্থায় আছেন তা কাউকে জানতে দেয়া হচ্ছে না। তার সাথে স্বজনদের দেখা সাক্ষাত করতে দেয়া হচ্ছে না। পিজি হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ড তার স্বাস্থ্য সম্বন্ধে যে প্রতিবেদন দিয়েছে তাতে বলা হয়েছে তার বর্তমান অবস্থায় এডভান্স চিকিৎসা দরকার। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।