তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তান। টস জিতে আগে ব্যাট করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৪১ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। জবাবে ১৯.৩ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা। এই জয়ের মধ্যদিয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল তারা।
এর পর অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে জুটি গড়েন আফিফ হোসেন। দ্রুত রান তোলার তাড়ায় এলোমেলো শট খেলছিলেন আফিফ। শেষমেশ বোল্ড হয়ে ৯ রানে সাজঘরে ফেরেন আফিফ। সৌম্য সরকার উইকেটে এসেই বাউন্ডারি ভাল কিছু করার ইঙ্গিত দিয়েছিল। কিন্ত তিনি নিজের ইনিংসকে বড় করতে পারেনি। বাঁহাতি পেসার শাহীন শাহ আফ্রিদির স্লোয়ার ডেলিভারিতে বোল্ড হন সৌম্য। ৫ বলে ৭ রান করে সৌম্য ফিরেছেন সাজঘরে। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১৯ রানে অপরাজিত থাকেন।
জয়ের জন্য ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় পাকিস্তান। শফিউল ইসলামের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলটি বাবর আজমের ব্যাট ছুয়ে উইকেট কিপার লিটন দাসের গ্লাভসে জমা হয়। ফিল্ডারদের জোড়ালো আবেদনে আঙ্গুল তুলে দেন আম্পায়ার। কিন্তু আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে রিভিউ নিলেও আর ফেরা হয়নি বাবর আজমের। শফিউল ইসলামের পর বাংলাদেশ দলকে সাফল্য এনে দেন মোস্তাফিজুর রহমান। মুস্তাফিজের স্লোয়ার শর্ট বলে ভুল শট খেলে আউট হন মোহাম্মদ হাফিজ। তার আউটের সময় পাকিস্তানের রান ছিল ২ উইকেটে ৩৫।
তৃতীয় সাফল্য এনে দেন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। লেগ স্পিনারের সোজা বল ক্রস করতে গিয়ে লং অনে ক্যাচ দেন ৩৬ রান করা আহসান আলী। তার আউটের সময় পাকিস্তানের রান ৩ উইকেটে ৮১। ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় উইকেট পান শফিউল ইসলাম। বাবর আজমের পর তার শিকার ইফতিখার আহমেদ। ডানহাতি ব্যাটসম্যান শফিউলের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ১৬ রানে। তার আউটের সময় পাকিস্তানের রান ৪ উইকেটে ১১৭। আল-আমিনের শর্ট বল পুল করতে গিয়ে বোল্ড হন ইমাদ ওয়াসিম। তার আউটের সময় পাকিস্তানের রান ৫ উইকেটে ১৩৩। শোয়েব মালিক ৫৮ রানে অপরাজিত থাকেন।