প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সরকারের জনপ্রিয়তা ও ইভিএমে ভোটের পরীক্ষা হয়ে গেল। আমরা যে এত কাজ করলাম মানুষের জন্য তাহলে মানুষ আমাদের কতটুকু আস্থায় নেয়, বিশ্বাস করে এবং ভোট দেয় কি না সেটারও একটা টেস্ট হয়ে গেল।’
এই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিকে অনেকের দৃষ্টি ছিল মন্তব্য করে সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকেই তো অনেক কথা বারবার বলে। কাজেই সকলের তো একটা দৃষ্টি-ই ছিল।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে যে দুর্নীতি, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, বাংলা ভাই সৃষ্টি, মানিলন্ডারিং, এতিমের অর্থ আত্মসাৎ… যে সমস্ত কর্মকাণ্ড তারা করেছে তাতে মানুষ কোনো দিনই তাদের সমর্থন দেয় না, তাদের চায়ও না। এতদিন তারা যে গুন্ডামি করে ভোট নিত সেটা এবার হয় নাই, পারে নাই। সেটাই সমস্যা তাদের জন্য।’
অনুষ্ঠানে দুই সিটিতে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদও বক্তব্য রাখেন।
এদিকে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে ফল প্রত্যাখ্যান করে রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) হরতালের ডাক দিয়েছে বিএনপি। হরতাল কর্মসূচিতে সমর্থন দিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
উল্লেখ্য, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বেসরকারি ফলাফলে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম ও শেখ ফজলে নূর তাপস বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। শনিবার ভোট গ্রহণ শেষে রাতে এ ফল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
১১৫০ কেন্দ্রের বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফলে তাপস পেয়েছেন ৪ লাখ ২৪ হাজার ৫৯৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২ লাখ ৩৬ হাজার ৫১২ ভোট।
অন্যদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫০ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন। ১৩১৮ কেন্দ্রের বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফলে আতিক পেয়েছেন ৪ লাখ ৪৭ হাজার ২১১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আওয়াল ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২ লাখ ৬৪ হাজার ১৬১ ভোট।