‘কারাগারের টানা ১৯ দিন অনশন ধর্মঘট সেরে তরুণ শেখ মুজিবুর রহমান নৌকা করে গ্রামে ফিরছেন। আর বাবা ও গ্রামবাসীরা তাকে নিতে এসেছেন ঘাটে।’
আজ এমন দৃশের শুটিং হলো ভারতে বিনোদনের রাজধানী মুম্বাইয়ে শহরতলীর ফিল্মসিটি বা চিত্রনগরীতে।
অ্যারে পার্ক নামে একটা বিস্তীর্ণ সবুজ পাহাড়ি অরণ্যের কোলে বিছোনো এই ফিল্ম সিটি, আপাতত তারই অন্তত ছয়টি লোকেশনে পড়েছে বঙ্গবন্ধুর সেট। কোথাও টুঙ্গিপাড়ার নদীর ঘাট বা ফুটবল মাঠ, কোথাও আবার শেখ মুজিবের স্মৃতিবিজড়িত কলকাতার বেকার হোস্টেল। অর্থাৎ বলিউডের বর্ষীয়ান নির্মাতা শ্যাম বেনেগাল নেতৃত্বে চলছে বিশাল কর্মকাণ্ড।
নির্মাতা শ্যাম বেনেগাল বলেন, ‘খুব লম্বা কাজ হবে এটা। যেটাকে আমরা বলছি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অতীত ও পারিবারিক জীবন। সেটার শুটিং এখানে হচ্ছে। এরপর লোকেশন সরে যাবে বাংলাদেশের বিশাল ক্যানভাসে। শেখ মুজিব তো আর দশটা মানুষের মাঝে ভাষণ দিতেন না তিনি ভাষণ দিতেন ৫ লক্ষাধিক মানুষের মাঝে।’
বঙ্গবন্ধুর মূল চরিত্রের কেন্দ্রীয় অভিনেতা আরিফিন শুভ বলেন, ‘বলে না যে- ভালোবাসা অন্ধ হয়। ভালোবাসার চোখ থাকে না। আমি এই কাজটা করতে গিয়ে। বিশেষ করে ওনার সম্পর্কে গবেষণা করতে গিয়ে, ওনাকে জানাতে গিয়ে, ওনার দর্শন বুঝতে গিয়ে আমি ওনার প্রেমে পড়ে গেছি। সেই প্রেম থেকেই কাজটা করছি। সুতরাং প্রত্যেকটা শট, প্রত্যেকটা মূহুর্ত আমার কাছে কল্পনার মতো। আমার কাছে বারবার মনে হচ্ছে, উনি কি দেখতে পাচ্ছেন- শুনতে পাচ্ছেন।
‘বঙ্গবন্ধু’ বায়োপিকের চিত্রনাট্যকার শ্যামা জাহিদ বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলেছিলাম, আমরা এই ছবিটি বানাতে চাই আপনার মায়ের চোখ দিয়ে। মুজিবের প্রিয় রেণুর চোখ দিয়ে। তিনি দুই দিন ধরে আমাদের বুঝিয়েছিলেন- কীভাবে একজন গ্রামের মেয়ে, যিনি স্বামীকে রাজনীতির মাঠে যেতে দেন না। সেখান থেকে তার মা বঙ্গবন্ধুর সার্থক অর্ধাঙ্গী হয়ে উঠেছিলেন। রোজ ফজরের নামাজ সেরে শেখ হাসিনা নিজেই স্ক্রিপ্ট পড়তেন। এই চিত্রনাট্যের রাজনীতির দিকটা তিনিই শুধরে দিয়েছেন।’
চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর পিতার চরিত্রে অভিনয় করছি। এটা আমার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। বঙ্গবন্ধুর সাথে তার বাবার যে সম্পর্ক ছিলো সেটা অনেক ডায়মেনশন। যেটা সেই যুগে সেই সময়ে হতো না। পিতা-পুত্র একসাথে ফুটবল খেলতেন। আদর-সোহাগ শাসন।’