ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুর্বল দলের বিপক্ষেও হোয়াইটওয়াশ হলো টাইগাররা। দেশের মাটিতে ৯ বছর পর হোয়াইটওয়াশ হতে হলো বাংলাদেশকে। এর আগে ২০১২ সালে ড্যারেন স্যামির নেতৃত্বাধীন উইন্ডিজ ঢাকা সফরে দুই টেস্টের সিরিজে মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বাধীন দলকে হোয়াইটওয়াশ করে।
বাম পায়ে চোটের কারণে দ্বিতীয় টেস্টে খেলা হয়নি বাংলাদেশের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের। ঢাকা টেস্টে হারার পর সাকিব আল হাসানের কথা মনে পড়েছে বাংলাদেশ দলের টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুলের হকের।
ঘরের মাঠে ক্যারিবীয়দের কাছে হোয়াইটওয়াশ হওয়ায় ম্যাচ শেষে হতাশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ দলের টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল। ওপেনাররা ভালো শুরু করার পরও না পারায় হতাশ মুমিনুল। তিনি মনে করেন, ‘দল যখন হারবে তখন সেটি হতাশাজনকই হবে। হারলেও এই সিরিজ থেকে ইতিবাচক অনেক কিছু নেওয়ার রয়েছে। মিরাজ (মেহেদী হাসান) ব্যাট এবং বল হাতে ভালো পারফর্ম করেছে, তামিম ভাই ফিফটি করেছে, মুশফিক ভাই ফিফটি করেছে। আমাদের দুই ওপেনার যখন ভালো শুরু এনে দিয়েছিল, ভেবেছিলাম এই রান আমরা তাড়া করে জিততে পারব।’
দীর্ঘদিন পর এই সিরিজ দিয়ে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে ফিরেছিলেন সাকিব। তবে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে বোলিং করার সময় বাম পায়ে চোট পান এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। ইনজুরির কারণে ৩-৪ সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে ছিটকে যান তিনি। ম্যাচ শেষে মুমিনুল বলেন, সাকিবের মতো অলরাউন্ডার না থাকায় অধিনায়ক হিসেবে দল সাজানো কঠিন।
মুমিনুলের মতে, ‘সাকিব ভাই দুইয়ের মধ্যে এক। বলতে গেলে কমপ্লিট প্যাকেজ। উনি না থাকলে অধিনায়ক হিসেবে ভারসাম্য রেখে দল সাজানো খুবই কঠিন ব্যাপার।’