শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার পুরো জীবন দেশের মানুষের জন্য উৎসর্গ করেছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশ তার স্বাধীনতার নায়ককে হারায়। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাওয়ায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতিদান। আমি জাতির পিতার প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা জানাই।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিতির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। ‘মুজিব চিরন্তন’দশ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আজকের থিম ‘যতকাল রবে পদ্মা যমুনা’।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার ঐতিহাসিক বন্ধন রয়েছে। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভের পর শ্রীলঙ্কা প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের সঙ্গে প্রথম কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে গেছে।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস এবং তিন বাহিনীর প্রধান উপস্থিত আছেন।
এর আগে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রাজাপক্ষে। পরে তিনি পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন এবং একটি ফুল গাছের চারা রোপণ করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সকাল পৌনে ১০টায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর তাকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনালে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। তাকে স্বাগত জানানো হয় ২১ বার তোপধ্বনি দিয়ে। মাহিন্দা রাজাপাক্ষেকে নিয়ে শেখ হাসিনা অভ্যর্থনা মঞ্চে পৌঁছালে তিন বাহিনীর সুসজ্জিত একটি দল এ সময় গার্ড অব অনার দেয়।