প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোকে পিছিয়ে ফেলে বাংলাদেশি পোশাক খাত আন্তর্জাতিক মান সূচকে অগ্রগামী হয়েছে। সর্বশেষ ইথিক্যাল অডিট সূচকে বাংলাদেশি পোশাক কারখানার উৎপাদন ব্যবস্থা দ্বিতীয় স্থান লাভ করেছে। প্রথম স্থানে রয়েছে তাইওয়ান। তাইওয়ানকে টপকাতে পারলে বাংলাদেশ হবে প্রথম।
বাংলাদেশের পোশাক খাতে প্রথমবারের মত এই স্বীকৃতি অর্জন রফতানি ও দেশের ভাবমূর্তি বাড়াতে ভূমিকা রাখবে এবং ক্রেতাদের কাছেও কদর বাড়বে।
সূচকে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশের প্রতিদ্বন্দ্বী ভিয়েতনাম। আর চীনের অবস্থান ৭ম। সাপ্লাই চেইন কমপ্লায়েন্সসহ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান কিউআইএমএ’র সর্বশেষ এই মান নির্ধারণের ঘোষণা দিয়েছে। চীন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের বড় বড় ব্র্যান্ড এবং ক্রেতা প্রতিষ্ঠানকে সেবা সরবরাহ করে থাকে। ৮৫ দেশে কিউআইএমএ’র স্থানীয় অফিস রয়েছে। সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশের পোশাক খাত কমপ্লায়েন্স ইস্যুতে বেশ এগিয়েছে এবং ক্রেতাদের কাছে সুনাম কুড়িয়েছে। তবে পণ্যের দরকষাকষিতে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্বল ছিল। ইথিক্যাল অডিটে এগিয়ে থাকায় দরকষাকষিতে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যাবে।
প্রসঙ্গত, ইথিক্যাল অডিট কারখানাগুলোর উৎপাদন ব্যবস্থায় আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত হচ্ছে কি না, তা নিরীক্ষা করে। শ্রমিকের বেতন-ভাতা, কর্মপরিবেশ, সাধারণ ও মাতৃত্বকালীন ছুটি, সামাজিক ও পরিবেশগত নিরাপত্তার শর্ত এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক সুবিধাদি বিশ্লেষণ করা হয়। সাধারণ আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের শর্তমেনে শ্রমঅধিকার নিশ্চিত করার বিষয়টি এর মাধ্যমে খোলাসা হয়ে ওঠে। এই সূচক তৈরিতে সরেজমিন কারখানা পরিদর্শন, শ্রমিকদের সাক্ষাতকার, কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনাও করা হয়।
তথ্য অনুযায়ী গত ইথিক্যাল অডিট সূচকে ১০ পয়েন্টের মধ্যে বাংলাদেশের সূচক ৭ দশমিক ৭। ভিয়েতনামের ৭ দশমিক ৬। চীন ৭ দশমিক ৩ পয়েন্ট পেয়ে সপ্তম স্থানে রয়েছে।
এই অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছে পোশাক শিল্প মালিকরা। বিজিএমইএ সহসভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম বলেন, এটি বাংলাদেশের অনন্য অর্জন। রানা প্লাজা ধসের পর যে দুর্নাম হয়েছিল, তা কাটিয়ে উঠতে সহায়ক হবে। ক্রেতাদের কাছ থেকে বেশি রপ্তানি আদেশ পাওয়া যাবে।