এই বছরখানেক আগেও সার্জিও রামোসবিহীন রিয়াল মাদ্রিদ কল্পনা করাও মুশকিল ছিল। অথচ বাস্তবতা হচ্ছে, মাদ্রিদ শিবির ছেড়ে এখন অন্য ঠিকানা খুঁজছেন ক্লাবের এই কিংবদন্তি।
গতকাল (বুধবার) গণমাধ্যমে চাউর হয়ে যায়, রামোসের সঙ্গে চুক্তি বাড়াচ্ছেনা মাদ্রিদিস্তারা। আজ সম্পন্ন হলো আনুষ্ঠানিকতাও।
২০০৫ সালে ক্লাবে যোগদানের পর ক্লাবের অপরিহার্য সদস্যে পরিণত হন রামোস। ২০১৫ সাল থেকে প্রায় অর্ধযুগ সামলেছেন ক্লাবটির অধিনায়কত্বের গুরুভারও।
তবে রামোস এবং ক্লাব সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয় মূলত চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে। স্পেনের এলচের একটি হোটেলে দু’জনের বৈঠক শেষেই মোটামুটি আঁচ করা যায়, ইতিবাচক কিছু হয়নি।
ক্লাব সভাপতির সঙ্গে ঝামেলার সূচনা মূলত রামোসের চুক্তি নিয়ে। জানুয়ারিতেই তার চুক্তির মেয়াদ ১ বছর বাড়াতে চেয়েছিল রিয়াল। তবে রামোসের দাবি ছিল, চুক্তি বাড়াতে হবে ২ বছর। একইসঙ্গে পরবর্তী ২ বছর কোচ হিসেবেও থাকতে চেয়েছিলেন তিনি। তার এমন প্রস্তাবে রাজি হয়নি ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
রামোস কিছুটা আবেগপ্রবণও হয়তো হয়ে পড়েছিলেন। স্প্যানিশ গণমাধ্যমগুলো বলছে, রামোস মনে করেছেন, তার প্রতি অবিচার করেছে ক্লাব। ৩৫ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডারের এমন ধারণা হয় মূলত গেল বছর করোনার প্রভাবে আর্থিক সংকটে পড়ার পর ক্লাব যখন তাকে বলেছিল ১০ শতাংশ বেতন কমাতে। একসময় বিনা বেতনে খেলতে চাওয়া রামোস, ক্লাবের এমন প্রস্তাব মেনে নিতে পারেননি। ফলে তল্পিতল্পা গুটিয়ে ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
১৬ বছরে ক্লাবের হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে রামোস খেলেছেন ৬৭১টি ম্যাচ। করেছেন ১০১টি গোল। দলকে জিতিয়েছেন ৪টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ৫টি লা লিগা সহ মোট ২২টি ট্রফি।