আজ ৯ অক্টোবর, বিশ্ব ডাক দিবস। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হচ্ছে।
এ উপলক্ষে ডাক অধিদপ্তরের উদ্যোগে আলোচনা সভা, পত্রলিখন প্রতিযোগিতা এবং বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনে বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘পোস্ট ফর প্ল্যানেট’। বাংলায় যার অর্থ হলো : ‘বিশ্বের জন্য ডাকঘর’।
জার্মান ডাক বিভাগের এক সিনিয়র কর্মকর্তা জে. হাইনরিখ ফন স্টিফেন ১৮৬৮ সালে একটি পোস্টাল ইউনিয়ন গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন এবং প্রস্তাব আকারে জার্মান সরকারের কাছে পেশ করেন। প্রস্তাবের সূত্র ধরে জার্মান সরকারের উৎসাহে সুইজারল্যান্ডের বার্ন শহরে ১৮৭৪ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত ২২টি দেশের ডাক বিভাগ একত্রিত হয়ে একটি সম্মেলন করে। সম্মেলনের শেষ দিন ৯ অক্টোবর প্রতিষ্ঠিত হয় জেনারেল ইউনিয়ন অব পোস্ট। ১৮৭৮ সালে জেনারেল ইউনিয়ন অব পোস্ট পরিবর্তন করে বিশ্ব ডাক সংস্থা করা হয়। বিশ্ব ডাক সংস্থা গঠনের পর যে কোনো রাষ্ট্র থেকে পাঠানো চিঠি অন্য রাষ্ট্র বিনা মাশুলে গ্রহণ করে।
এর আগে একটি চিঠি এক দেশ থেকে অন্য দেশে পাঠানো হলে যতগুলো দেশের ভেতর দিয়ে যেত, সেসব দেশের ডাকটিকিট খামে লাগাতে হতো। এতে করে ডাক বিভাগকে পোহাতে হতো অনেক ঝামেলা। ১৯৬৯ সালে জাপানের টোকিওতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব ডাক সংস্থার ১৬তম অধিবেশনে ৯ অক্টোবরকে বিশ্ব ডাক ইউনিয়ন দিবস হিসেবে উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ১৯৮৪ সালে জার্মানির হামবুর্গে অনুষ্ঠিত বিশ্ব ডাক সংস্থার ১৯তম অধিবেশনে বিশ্ব ডাক ইউনিয়ন দিবসকে করা হয় বিশ্ব ডাক দিবস।
১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ ইউনিভার্সাল ইউনিয়ন অর্থাৎ বিশ্ব ডাক সংস্থার সদস্যপদ লাভ করে। এরপর থেকে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ প্রতি বছর ৯ অক্টোবরকে বিশ্ব ডাক দিবস হিসেবে উদযাপন করে আসছে। এ বছরও বিশ্ব ডাক দিবস উদযাপিত হচ্ছে।