বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে ৪ রানে হারিয়ে টানা পঞ্চম জয় তুলে নিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। শনিবার (২৮ জানুয়ারি) টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান সংগ্রহ করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ১৬৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৬১ রান সংগ্রহ খুলনা টাইগার্স।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে কুমিল্লাকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। উদ্বোধনী জুটিতে ৬৫ রান সংগ্রহ করে এই দুই ব্যাটার। নিজের অর্ধশতক পূরণ করেন লিটন দাস। অর্ধশতক পূরণের পর দলীয় ৬৫ রানে আউট হন লিটন।
লিটনের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন জনসন চার্লস। জনসন চার্লসকে সঙ্গে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে আরও ৬০ রান যোগ করেন রিজওয়ান। এরপর দলীয় ১২৫ রানে ২২ বলে ৩৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরে যান জনসন চার্লস।
এরপর ক্রিজে আসা খুশদিলকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস শেষ করে আসেন রিজওয়ান। ৪৩ বলে নিজের অর্ধশতক পূরণ করেন রিজওয়ান। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান সংগ্রহ করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
মোহাম্মদ রিজওয়ান ৪৭ বলে ৫৪ ও খুশদিল ১১ বলে ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন। খুলনার পক্ষে ওয়াহাব রিয়াজ ও নাহিদুল ইসলাম নেন ১টি করে উইকেট।
১৬৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় খুলনা। দলীয় ১৪ রানে ১০ বলে ১১ রান করে আউট হন তামিম ইকবাল। এরপর ক্রিজে আসা সাঁই হোপকে সঙ্গে নিয়ে ৪৯ রানের জুটি গড়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন অ্যান্ড্রু বালবার্নি।
তবে দলীয় ৬৩ রানে ৩১ বলে ৩৮ রান করে রান আউটে কাটা পড়েন অ্যান্ড্রু বালবার্নি। এরপর ক্রিজে আসা মাহমুদুল জয়কে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন সাঁই হোপ। ক্রিজে এসে বেশ আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন মাহমুদুল জয়।
তবে দলীয় ১০৬ রানে ১৩ বলে ২৬ রান করে আউট হন জয়। এরপর ক্রিজে এসেই সাজঘরে ফিরে যান আজম খান। এরপর দলীয় ১১৭ রানে ১০ বলে ৮ রান করে আউট হন সাইফউদ্দিন।
এরপর ক্রিজে আসা ইয়াসির রাব্বিকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান সাঁই হোপ। তবে দলীয় ১৪১ রানে ৩২ বলে ৩৩ রান করে আউট হন হোপ। হোপের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন ওয়াহাব রিয়াজ।
ওয়াহাব রিয়াজকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন ইয়াসির রাব্বি। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১৭ রান প্রয়োজন হয় খুলনার। ওভারের তৃতীয় ও চতুর্থ বলে চার মারেন রাব্বি। শেষ দুই বলে ৮ রান প্রয়োজন হয় খুলনার। পঞ্চম বলে দুই রান নিলে জয়ের জন্য শেষ বলে ৬ রান প্রয়োজন হয় খুলনার। শেষ বলে ১ রান নিলে ৪ রানে ম্যাচ হেরে যায় খুলনা। অন্যদিকে টানা পঞ্চম জয়ের দেখা পায় কুমিল্লা।
ইয়াসির রাব্বি ১৯ বলে ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন। কুমিল্লার পক্ষে নাসিম শাহ নেন ২টি উইকেট।