সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া আসন্ন টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপের জন্য আফগানিস্তান দল ঘোষণা করেছে। এই দলের নেতৃত্বে থাকবেন স্পিনার ও ক্যাপ্টেন রশিদ খান, যারা ইতিমধ্যেই নিজেদের দক্ষতা ও নেতৃত্ববোধে দলের মান তৈরি করেছেন। সেই সঙ্গে দলে রয়েছে সাহসী ব্যাটসম্যান নুরু আহমেদ, অভিজ্ঞ মিডিপ্লেয়ার মুজিব উর রহমান, দারুণ অলরাউন্ডার এএম গাজানফর এবং নবীন স্পিনার মোহাম্মদ নবী। দলের সাজানো হয়েছে শক্তিশালী স্পিন আক্রমণে, যা তাদের প্রতিপক্ষের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে।
গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগানিস্তান ছিল ভারতের পরে এশিয়ার দ্বিতীয় সেরা দল। তবে, ২০২৫ সাল পর্যন্ত তারা মাত্র তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে, তার মধ্যে একটি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। সেই জিম্বাবুয়ে সফরে দলের কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এসেছে। টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান জাজাই এবং অলরাউন্ডার আকবরি দলের বাইরে থাকলেও, দলে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন ইব্রাহিম জাদরান, শরাফুদ্দিন আশরাফ এবং বিস্ময় স্পিনার গাজানফর, যারা মাঠে নিজেদের দক্ষতা দেখানোর জন্য অপেক্ষা করছেন।
আফগানিস্তান ‘বি’ গ্রুপে পড়েছে, যেখানে তাদের প্রতিপক্ষরা হল বাংলাদেশ, হংকং ও শ্রীলঙ্কা। অন্যদিকে, ‘এ’ গ্রুপে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান, ওমান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।
নতুন এশিয়া কাপ স্কোয়াডে রয়েছে রশিদ খান (অধিনায়ক), রহমানুল্লাহ গুরবাজ (উইকেটরক্ষক), ইব্রাহিম জাদরান, দারউইশ রসুলি, সেদিকুল্লাহ অতল, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, করিম জানাত, মোহাম্মদ নবি, গুলবাদিন নাইব, শরফুদ্দিন আশরাফ, মোহাম্মদ ইসাক, মুজিব উর রহমান, এএম গজনফর, নুর আহমেদ, ফরিদ আহমেদ, নাভিন উল হক ও ফজলহক ফারুকি। রিজার্ভ ক্যাটাগরিতে রয়েছেন ওয়াফিউল্লাহ তারাখিল, নানগেলিয়া খারোতে ও আবদুল্লাহ আহমেদজাই।
এখন দেখার বিষয়, এই দল কতটা পারফর্ম করতে পারে আসরের তারকাদের দিয়ে। আধুনিক ক্রিকেটের পাল্টা চ্যালেঞ্জে কি তারা এগিয়ে থাকবেন নাকি নতুন প্রতিদ্বন্দ্বি দলে উত্থান ঘটবে—সবই এখনো অজানাই।