হোয়াইটওয়াশের লক্ষ্যে বাংলাদেশের বিপক্ষে শুরুটা ভালো করেছিল আফগানিস্তান। দেরাদুনে সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে দেখে শুনে খেলতে থাকেন দুই ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদ ও উসমান গনি। উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৫৫ রান। অষ্টম ওভারে এই জুটি ভাঙেন নাজমুল ইসলাম। লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন শাহজাদ। বিদায় নেন ২৬ রানে।
পরের ওভারে ফিরে যান আরেক ওপেনার ওসমান গনি। ১৯ রানে ব্যাট করতে থাকা এই ব্যাটসম্যানকে বুক সমান উঁচু শর্ট বল দিয়েছিলন আবু জায়েদ। হুক করার চেষ্টা করেছিলেন তার বলে। বল গিয়ে জমা পড়ে মুশফিকের হাতে। অপরপ্রান্ত ধরে আগ্রাসী ভঙ্গিতে খেলার চেষ্টায় ছিলেন অধিনায়ক আজগর স্ট্যানিকজাই। ১৭ বলে ৩ ছক্কায় করে ফেলেছিলেন ২৭ রান। আফগান অধিনায়ককে আর থিতু হতে দেননি আজকের ম্যাচে জায়গা পাওয়া আরিফুল হক। ১৩তম ওভারে তাকে সাব্বিরের তালুবন্দি করান আরিফুল। আফগানদের রানের গতি আটকাতে ১৫তম ওভারে ফের আঘাত হানেন আবু জায়েদ। মোহাম্মদ নবিকে ফেরান মাত্র ৩ রানে। আফগানিস্তানের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৪.১ ওভারে ১০১ রান।
তিন ম্যাচের সিরিজ নিশ্চিত হয়ে গেছে আফগানিস্তানের। দেরাদুনে তৃতীয় ম্যাচটি তাই বাংলাদেশের জন্যে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচ। সেই ম্যাচটিতে টস জিতে শুরুতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আফগানরা।
আজকের ম্যাচে তিনটি পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। ঢুকেছেন আবু জায়েদ রাহী, আরিফুল হক ও মেহেদী মিরাজ। আফগানিস্তান ক্রিকেটও হেঁটেছে পরিবর্তনে। বাদ পড়েছেন মিডিয়াম পেসার শাহপুর জাদরান। ঢুকেছেন আরেক মিডিয়াম পেসার আফতাব আলম।
ইতোমধ্যে জিম্বাবুয়ের পর দ্বিতীয় টেস্ট খেলুড়ে দেশ হিসেবে আফগানিস্তানের কাছে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ হারের লজ্জা পেয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে ৪৫ রানে হারের পর ৬ উইকেটে হেরে সিরিজ হাতছাড়া করেছে তারা। দুই ম্যাচেই ব্যাটে, বলে ও ফিল্ডিংয়ে পিছিয়ে ছিলেন সাকিব-মাহমুদউল্লাহরা।
এমন অবস্থায় দুই ম্যাচ হেরে আত্মবিশ্বাসে বড় ধাক্কা খেয়েছে বাংলাদেশ। আফগান স্পিনারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে টি-টোয়েন্টি সুলভ ব্যাটিং করতে পারেনি। এমনকি ডেথ ওভারে ছিল বোলারদের দৈন্যদশা। সদ্য টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়া দলের কাছে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়াতে শেষ ম্যাচে দায়িত্বশীল পারফরম্যান্স করতে হবে ব্যাটসম্যান, বোলার ও ফিল্ডারদের।