২০২৭ সালের অক্টোবর-নভেম্বরে মাঠে গড়াতে যাচ্ছে বিশঠ বিশ্বকাপের ১৪তম আসর, যা অনুষ্ঠিত হবে ভার্চুয়াল ক্রীড়া জগতে এক বিশাল জলজলন্ত উৎসব। এবারের এই বিশেষ আসরের যৌথ আয়োজক দেশ হলেন দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে এবং নামিবিয়া। এই টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে দক্ষিণ আফ্রিকার ভেন্যুগুলিতে, যেখানে মোট ৫৪ ম্যাচের মধ্যে ৪৪টি আয়োজন করা হবে। এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলো আয়োজনের কেন্দ্রবিন্দু থাকবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিভিন্ন শহর, যার মধ্যে রয়েছে জোহানেসবার্গ, প্রিটোরিয়া, কেপটাউন, ডারবান, গবেরহা, ব্লুমফন্টেইন, ইস্ট লন্ডন ও পার্লে। অন্যদিকে, বাকি ১০ ম্যাচ আয়োজন করা হবে জিম্বাবুয়ে এবং নামিবিয়াতে। আফ্রিকা মহাদেশে পুরুষদের বিশ্বকাপের আয়োজন সর্বশেষ ২০০৩ সালে হয়েছিল, তখন এই মহাদেশের তিন দেশ—দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে এবং কেনিয়া—মিলে এই বড় আসরটি আয়োজন করে। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকা দুইবার নারী বিশ্বকাপের আয়োজন করেছে: ২০০৫ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ এবং ২০২৩ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। বিগত ২৪ বছর পরে, আবারো ওয়ানডে বিশ্বকাপের আয়োজনের সুযোগ পাওয়ায় দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটপ্রেমীরা বেশ উচ্ছ্বসিত। দেশটির ক্রিকেট বোর্ড ইতিমধ্যেই জমজমাট এই আয়োজনের জন্য বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার, দেশটির একটি স্থানীয় আয়োজক কমিটি গঠন করা হয়, যার নেতৃত্বে থাকবেন সাবেক অর্থমন্ত্রী ট্রেভর ম্যানুয়েল। এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ৪৪টি ম্যাচ হওয়ার স্থান হবে দক্ষিণ আফ্রিকার আটটি ভেন্যুতে। এসব ভেন্যুর মধ্যে রয়েছে জোহানেসবার্গ, প্রিটোরিয়া, কেপটাউন, ডারবান, গবেরহা, ব্লুমফন্টেইন, ইস্ট লন্ডন ও পার্লে। সিএসএ-এর চেয়ারম্যান পার্ল মাফোশে বললেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো এমন একটি আন্তর্জাতিক, অনুপ্রেরণামূলক আসর আয়োজন করা, যা দক্ষিণ আফ্রিকার বৈচিত্র্য, সাম্যের মূল্যবোধ ও ঐক্যকে উপস্থাপন করবে।’ এভাবে, এই বিশ্বকাপের মধ্য দিয়ে শুধু ক্রিকেটের মর্যাদা বৃদ্ধি নয়, একই সঙ্গে দেশের সাংস্কৃতিক ও সামাজিক ঐক্যও সুদৃঢ় হবে বলে আশা করছে দেশটির ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা।