আগস্ট মাসের ৩০ দিনে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন মোট ২২২ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার, যা পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ২৭ হাজার ২০০ কোটি টাকার মতো। এই তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। ডলার হার প্রায় ১২২ টাকা ধরে হিসাব করলে, এটি দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে প্রবাসীরা এই রেমিট্যান্স পাঠানোর ফলে দেশের অর্থনীতিতে স্বস্তি ফিরে এসেছে। হুন্ডি রোধে সরকারের কঠোর পদক্ষেপ, বিভিন্ন প্রণোদনা এবং ব্যাংকিং ব্যবস্থার উন্নতির কারণে এ ধারাবাহিকতা বজায় থাকছে।
অতীতে, জুলাই মাসে প্রবাসীরা মোট ২৪৮ কোটি মার্কিন ডলার বা প্রায় ৩০ হাজার ২৩০ কোটি টাকা পাঠিয়েছেন।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স প্রবাহ নতুন এক রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, এই অর্থবছরে দেশের জন্য রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় ৩০.৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ২৭ শতাংশ বেশি। এর আগের অর্থবছর, অর্থাৎ ২০২৩-২৪ সালে, রেমিট্যান্স ছিল ২৩.৭৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রবাহ।
প্রবাসীদের এই ধারাবাহিক উপার্জন বৃদ্ধি দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করছে, বৈদেশিক মুদ্রার চালান নিশ্চিত করছে এবং ডলারের জোগান সহজ করে দিচ্ছে।