গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে তিন দিন আইসিইউতে রেখেও কোনওোরকম আশঙ্কামুক্ত বলা যাচ্ছে না। আজ (সোমবার) দুপুরে তাঁকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে, তবে শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও এখনও পুরোপুরি সুস্থ chưa। ডাক্তাররা বলছেন, উন্নত চিকিৎসা না পেলে সামনে বড় ধরনের ঝুঁকি দেখা দিতে পারে। কারণ, মাথা ও মুখে গুরুতর আঘাত পাওয়ার কারণে ভবিষ্যতে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের আঘাত দীর্ঘমেয়াদে অনেক ক্ষতি করতে পারে। যেমন: ট্রমাটিক সাবআরাকনয়েড হেমোরেজের ফলে মস্তিষ্কে নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে, এর মধ্যে সমস্যা হয় কথা বলা, ভারসাম্য রক্ষা, এমনকি অ্যালঝেইমারও হতে পারে। ইনফেকশনের ঝুঁকিও উড়িয়ে দেওয়া যায় না, কারণ মাথার হাড়ে ফ্র্যাকচার থাকায় ইনফেকশন হতে পারে। ফলে, উন্নত চিকিৎসা, নিবিড় পর্যবেক্ষণ এবং নিয়মিত ফলোআপ অপরিহার্য।
নুরের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. সাজ্জাদ হোসেন রাসেল গণমাধ্যমকে জানান, ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরির পাশে, ২০১৯ সালে ডাকসু ভবনের ওপর হামলার সময়ও তিনি গুরুতর আহত হয়েছিলেন। তাই এর উপযুক্ত চিকিৎসার জন্য তাকে দেশের বাইরে নেওয়া জরুরি বলে মনে করা হচ্ছে। গত শুক্রবার (২৯ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম সংলগ্ন আল রাজী টাওয়ারের সামনে, জেএমপি ও গণঅধিকার পরিষদের মধ্যে সংঘর্ষের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লাঠিপেটায় গুরুতর আহত হন নুর ও তার অন্যান্য সহযোগী। পরে তাঁর সহকর্মীরা দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। এই ঘটনাগুলো এখনো চিকিৎসকদের উদ্বেগের কারণ।