আসন্ন ত্রয়োদশ সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ডজনেরও বেশি নির্বাচনী সংস্কার প্রস্তাবনা পাঠিয়েছে আইনমন্ত্রনালয়ে। এই প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার, যা নির্বাচনের মাধ্যমে আরও অংশগ্রহণমূলক, স্বচ্ছ ও দাপ্তরিক অপচয়মুক্ত করতে সহায়তা করবে।
বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর, এসব প্রস্তাবনা আরপিও (নির্বাচনী অফিসার নিয়ম) ও গণপ্রতিনিধিত্ব আইনের প্রস্তাবনা হিসেবে চূড়ান্ত করে আইনমন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে। দস্তাবেজে উল্লেখ করা হয়, ফেরারি আসামিকে (ক্রস্থদের) ভোটের অযোগ্যতার বিষয়ে সুপারিশ করা হয়েছে, যাতে রাষ্ট্রের সংবিধান ও নির্বাচনী ব্যবস্থার স্বচ্ছতা বজায় থাকে।
প্রস্তাবনায় আরও বলা হয়েছে, নির্বাচনী প্রচারণায় প্রতিদ্বন্দ্বী এক প্রার্থী সর্বোচ্চ ২০টি বিলবোর্ড ব্যবহার করতে পারবে। পাশাপাশি, বিদেশি প্রার্থী বা তাদের পক্ষে স্বশরীরে প্রচার করা যাবে না।
অন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবনা হলো, প্রার্থীদের জামানত পরিমাণ বর্তমানে ২০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করার কথা। এ ছাড়া, আগের মতো শুধুমাত্র প্রতিনিধি দিয়ে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সুবিধা আর থাকবে না। প্রার্থী বা মনোনয়ন প্রস্তাবকারীর উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, যাতে নির্বাচনপ্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ আরও স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য হয়।
এসকল সংস্কার প্রস্তাবনা নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী ও কার্যকর করতে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ বলে মনে করা হচ্ছে। ভবিষ্যতের জন্য এসব প্রস্তাবনা কেমন বাস্তবায়িত হয়, তা দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে সকলই।