নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বর্তমানে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ভীতিপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে। বিগত কয়েকদিন ধরে কাঠমান্ডু ও আশপাশের এলাকাগুলিতে ব্যাপক বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে, যা স্থানীয় সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ব্যবসা ও সরকারি কার্যক্রমের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। বিক্ষোভকারীরা গোথাতা সহ বিভিন্ন এলাকায় আগুন জ্বালানোর ঘটনাও ঘটিয়েছে। পরিস্থিতির আরও অবনতি রোধে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নেপালি সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। এ পর্যন্ত জানা গেছে, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক উভয় ধরনের বিমান পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়েছে। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শুরু হওয়া এ বিক্ষোভ-সংঘাত মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত চলতে থাকায় পরিস্থিতি একেবারে অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে। সেই দিনই জেন জি নামে প্রভাবশালী বিক্ষোভকারীরা শাসক দল নেপালি কংগ্রেসের কেন্দ্রিয় কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ কারণে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। ১৯ তরুণ বিক্ষোভকারী নিরাপত্তা বাহিনীর দমন-পীড়নে নিহত হওয়ার ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ আরও বেড়ে যায়। সরকারের কঠোর পদক্ষেপের ফলস্বরূপ পরিস্থিতি আরও উত্তেজনা প্রবাহিত হচ্ছিল। আন্দোলনের মূল বিষয় ছিল দুর্নীতি মুক্তি ও সামাজিক মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে। তবে পরিস্থিতি বিবর্ণ হয়ে উঠার সাথে সাথে বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের বাড়ি ও গুরুত্বপূর্ণ দলীয় কার্যালয়গুলি আক্রমণ করতে শুরু করে, পাথর ও আগুনের ব্যবহার বাড়ে। রাজধানী কাঠমান্ডু ও কয়েকটি জেলায় এখন পরিস্থিতি চরমে পৌঁছেছে, যেখানে প্রশাসন বিভিন্ন এলাকায় কারফিউ জারি করেছে। এই ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্যে বিমানবন্দর বন্ধ থাকায় আন্তর্জাতিক ও দেশের অভ্যন্তরীন ফ্লাইটগুলো বন্ধ হয়ে গেছে, যা সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের জন্য বড় দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।