আগামীকাল বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, নির্বাচন কমিশন (ইসি) নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ডেকে বসছে। এই বৈঠকটি প্রধানত মাঠ পর্যায়ের তদন্ত ও যাচাই-বাছাই শেষে দলগুলোর নিবন্ধন সংক্রান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে অনুষ্ঠিত হবে। ইসির উপসচিব মো. মাহবুব আলম শাহ্ স্বাক্ষরিত এক সংক্ষিপ্ত চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
চিঠিতে জানানো হয়, নির্ধারিত এই দিন বেলা সাড়ে ১১টে, নির্বাচনে সংসদীয় ও স্থানীয় সরকারের নির্বাচন প্রস্তুতি ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। এ সভায় সভাপতিত্ব করবেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। সভার মূল আলোচ্যসূচির মধ্যে রয়েছে নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন ও অন্যান্য বিবিধ বিষয়।
নির্বাচন কমিশনের রোডম্যাপে বলা হয়েছে, আগামী ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে দলগুলোকে শর্ত পূরণ করে গেজেটপ্রকাশের জন্য গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। এরপর যদি কোন দল দাবি বা আপত্তি নিয়ে আসে, তা ১৫ থেকে ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শুনানি নেওয়া হবে। যদি কোন দাবি বা আপত্তি না পাওয়া যায়, তবে ২৩ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত নিবন্ধন এবং নিবন্ধন সনদ প্রদান করা হবে।
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার জানিয়েছেন, তিনি ২২টি দল সম্পর্কে জেলা পর্যায়ের তদন্ত প্রতিবেদন চেয়েছেন। জেলার ভেতরে যেসব এলাকায় দলগুলো কার্যক্রম করছে, সেসবের ভিত্তিতে প্রতিবেদন দাখিল হবে। বেশ কিছু রিপোর্ট ইতোমধ্যেই পাঠানো হয়েছে এবং বাকিগুলোর জন্য অপেক্ষা চলছে।
প্রাথমিকভাবে টিকে থাকা ২২টির মধ্যে উল্লেখযোগ্য দলের মধ্যে রয়েছে ফরওয়ার্ড পার্টি, আমজনতার দল, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টি, বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল, মৌলিক বাংলা, বাংলাদেশ জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি, জাতীয় জনতা পার্টি, জনতার দল, বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি, জাতীয় নাগরিক পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় লীগ, ভাসানী জনশক্তি পার্টি, বাংলাদেশ বেকার মুক্তি পরিষদ, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ বেকার সমাজ, বাংলাদেশ সলিউশন পার্টি এবং নতুন বাংলাদেশ পার্টি।
অফিসিয়াল নিয়ম অনুযায়ী, কোনো দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করলে এটি দেখার জন্য কেন্দ্রীয় কমিটি, একটি তৃতীয় জেলা ও ১০০টি উপজেলা কমিটি এবং প্রত্যেক কমিটিতে অন্তত ২০০ ভোটারের সমর্থনের প্রমাণ সংযুক্ত থাকতে হবে। যদি কোনও দলের পূর্বে সংসদ সদস্য থাকেন বা নির্বাচনের পঞ্চাশ শতাংশ ভোট পেয়ে থাকেন, তবে তারাও নিবন্ধনের যোগ্য বিবেচিত হয়। এসব মূল শর্ত ও নিয়ম কানুন মেনে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়, যা প্রাথমিক পর্যায়ে সাধারণত খেয়াল রাখা হয়।