বাংলাদেশের বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন না এলে দেশের демок্রেসি নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়বে। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, গণতন্ত্রের স্বাভাবিক চর্চা আগের মতোই অপ্রতুল থাকবে, যা দেশের জন্য অত্যন্ত দুশ্চিন্তার বিষয়।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গুলশানে এক বিশেষ গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন। এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন এবং তাদের মধ্যেও আলোচনায় রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তনের গুরুত্ব উঠে আসে।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “আমি জোর দিয়ে বলছি, যদি আমরা আমাদের রাজনীতির আচার-আচরণ ও সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আনতে না পারি, তবে গণতন্ত্রের পরিমণ্ডল পূর্বের মতোই অকার্যকর থাকছে। এটি আমাদের জন্য এক প্রত্যাশিত লক্ষ্য নয়।”
তিনি আরও বলেন, “জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা আমাদের মূল লক্ষ্য। বাংলাদেশ রাষ্ট্র অনেক রক্তের বিনিময়ে লালিত হয়েছে। এখন আমাদের প্রয়োজন সাংবিধানিক এবং আইনি কাঠামো২তে অভিন্ন রূপ দিতে, যেন গণতন্ত্র আরও দৃঢ় হয়। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা আজকের সময়ের প্রধান স্বপ্ন ও লক্ষ্য।”
সালাহউদ্দিন আরও যোগ করেন, “জাতীয় স্বার্থে ঐক্য অপরিহার্য। জুলাই মাসের আন্দোলন এই ঐক্যকে আরও দৃঢ় করেছে। বিভিন্ন মতভেদ থাকলেও আমাদের এই ঐক্যকে অটুট রাখতে হবে।”
তিনি শুধু বলছেন না, বরং সতর্ক করে দিয়ে উল্লেখ করেন, “সাংবিধানিক ও অন্যান্য জরুরি সংস্কার ডেকে আনতে চাচ্ছে যারা, তাদের উদ্দেশ্য হয়তো ভিন্ন। পেছনের বিষয়ে নজর রাখতে হবে।”
এই আলোচনায় রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তনের গুরুত্ব আরোপ করে এক দেশের গণতন্ত্র ও ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ নিয়ে গভীর আলোচনা হয়েছে।