যুক্তরাষ্ট্রের সাথে শুল্ক ঘাটতি কমানোর লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশের সরকার দীর্ঘমেয়াদি জ্বালানি চুক্তি করেছে। এর আওতায় মার্কিন কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জি আগামী ১৫ বছরে ধাপে ধাপে বাংলাদেশকে প্রায় ১ লাখ কোটি টাকার (প্রায় সাড়ে ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ করবে। এই চুক্তির মাধ্যমে দেশের জ্বালানি সংকট মোকাবিলাসহ ভারসাম্য রেখে দেশে জ্বালানি সরবরাহ বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
পিছিয়ে না থেকে আরও স্পষ্ট করে বললে, বাংলাদেশের এই উদ্যোগের প্রেক্ষাপটে পিটার ডি হাস, যিনি এক সময় ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ছিলেন, বর্তমানে এক্সিলারেট এনার্জির স্ট্র্যাটেজিক অ্যাডভাইজর হিসেবে কাজ করছেন। তিনি এই বিশ্ববিখ্যাত কোম্পানির সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। ২০২২ সালে ঢাকায় নিযুক্ত হওয়ার পর, চাকরি শেষ করেছেন ২০২৪ সালের জুলাইয়ে। চুক্তি অনুযায়ী, মার্কিন কোম্পানি প্রতি বছর হাজারো কার্গো এলএনজি সরবরাহ করবে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ২০২৬-২০২৭ সালে ২৮টি কার্গো, পরবর্তীতে প্রতি বছর ১৬টি করে কার্গো থাকবে। এর ফলে, বাংলাদেশকে গড়ে שנתা প্রায় ৬০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে এই জ্বালানি সংগ্রহ করতে হবে।
এছাড়াও, আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি কেনা যাবে এবং ভবিষ্যতে এই খাতে আরও বেশি স্পট কার্গো পাওয়ার সম্ভাবনাও রক্ষাধার্য করে রাখা হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, ২০৪০ সাল পর্যন্ত বছরে ০.৮৫ মিলিয়ন টন (এমটিপিএ) এলএনজি সরবরাহের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা মো. শাহ আলম জানান, দেশের গ্যাস সংকট মোকাবিলায় এই দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিগত সরকারের সময় এটি বিশেষ বিধানের আওতায় স্বাক্ষরিত হয় এবং বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এই চুক্তি রক্ষাকল্পে কোন পরিবর্তন করেনি—কারণ এটি আইনগত কারণে আবদ্ধ।
এদিকে, এই চুক্তির পাশাপাশি সরকার স্পট মার্কেট থেকে আরও এলএনজি কেনা, ডিজেল ও অন্যান্য জ্বালানি আমদানি বাড়ানোর পরিকল্পনাও চালিয়ে যাচ্ছে। এই উদ্যোগগুলো বাংলাদেশের জ্বালানি আমদানির অস্থিরতা কমাতে এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্র: কালবেলা