বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেশের পরিস্থিতি উন্নত করতে যে দাবি জানিয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হলো জাতীয় পার্টি এবং ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা। তারা জানিয়েছে, তারা যেন সরকারি দোসর হিসেবে কাজ না করে, সেজন্য এই দাবি উঠেছে। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মগবাজারে আল-ফালাহ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি পেশ করেন দলটির নেতারা। একই সঙ্গে তারা আরও চারটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি তুলে ধরেছেন।
জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের জানান, আগামী ফেব্রুয়ারিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য তারা জোর দাবি জানাচ্ছে। ডিসেম্বরের জাতীয় সনদের ভিত্তিতে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে এবং এর মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত করে একটি ন্যায়ভিত্তিক, জবাবদিহিমূলক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ে তোলার স্বপ্ন তারা দেখছে।
তাদের প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে:
– জুলাইয়ে চূড়ান্ত হওয়া জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে হবে।
– নির্বাচনে সংসদের উভয় কক্ষে প্রোপোশনাল রেপ্রেজেন্টেশন পদ্ধতি (প্রিপার) চালু করতে হবে।
– অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে সব পক্ষের জন্য সমান সুযোগ ও পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে যেন কারোরই সুবিধাবাদ বা চাপে না পড়ে।
– ফ্যাসিস্ট সরকারের জুলুম, গণহত্যা, দুর্নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার সম্পন্ন করতে হবে। পাশাপাশি, স্বৈরাচারী দোসর ও যাদের কার্যক্রম দেশের জন্য হুমকি, তাদের আরও কঠোরভাবে নিষিদ্ধের দাবি জানানো হয়।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর এই দাবি দেশের রাজনৈতিক পরিবেশে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার সৃষ্টি করেছে।