আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, এই নির্বাচনকে সফল করতে পুলিশকে অতীতের নেতিবাচক অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। তিনি গুরুত্ব দিয়ে বললেন, পুলিশকে নিরপেক্ষতার সর্বোচ্চ মান বজায় রাখতে হবে, যেন নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হয়।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় এ কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার। তিনি আরো বলেন, কোনো দল, ব্যক্তি বা আদর্শের প্রতি পক্ষপাতিত্ব বা দুর্বলতা দেখানো যাবে না। ডাকসু নির্বাচনের উদাহরণ দিয়ে তিনি বললেন, একটি সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচন সৃষ্টি করতে সামাজিক ও পেশাদারী যৌথ প্রচেষ্টার বিকল্প নেই।
শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, অপতৎপরতা রোধে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষ করে নিষিদ্ধ সংগঠন বা তাদের সহায়তাদাতা হোতা, অর্থায়নকারী কারও বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের তাগিদ দেন। তিনি আরও বলেন, আইন-শৃঙ্খলা কার্যক্রমে মানবিক গুণাবলী ও সততার পরিচয় দিতে হবে পুলিশকে।
এছাড়া, সভায় ডিএমপি অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. সরওয়ার জানিয়েছেন, তথ্যপ্রযুক্তির আধুনিক ব্যবহারে ডিএমপি আরও শক্তিশালী ও স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠেছে। উদ্বোধন করা হয়েছে ভিডিও প্রসিকিউশন পদ্ধতি, যা ট্রাফিক আইন ভঙ্গের মামলার দ্রুত তদন্তে সহায়ক হবে।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এস এন মো. নজরুল ইসলাম উল্লেখ করেন, রাজধানীতে ছিনতাই রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি স্পটটি চিহ্নিত করে টহল জোরদার করতে হবে। তিনি বলেন, নিষিদ্ধ সংগঠনের অপতৎপরতা রোধে তাদের সঙ্গে জড়িত অর্থায়নকারী ও সহায়তাকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
উপস্থিত যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মো. ফারুক হোসেন আগস্ট ২০২৫ পর্যন্তের সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি—যেমন: ডাকাতি, দস্যুতা, চুরি, খুন, অপমৃত্যু, সড়ক দুর্ঘটনা, নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ, মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার—সংশ্লিষ্ট তথ্য উপস্থাপন করেন। ডিএমপি কর্মীদের বিভিন্ন নির্দেশনা দেন।
অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের প্রশংসাসূচক কাজের স্বীকৃতি হিসেবে, মাসিক সভায় ডিএমপি বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের হয়ে সম্মাননা ও পুরস্কার প্রদান করেন ডিএমপি কমিশনার।