২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচন নিয়ে উত্থাপিত নানা অনিয়মের তদন্তে উঠে এসেছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। এর সূত্রে জানা গেছে, ঐ নির্বাচনের বেশ কিছু প্রার্থী ও প্যানেল অনিয়মের মাধ্যমে ভোটাভুটি চালিয়েছিলেন, যার মধ্যে বিশেষ করে ছাত্রলীগের প্রার্থী গোলাম রাব্বানীর ভর্তি বাতিলের বিষয়টি কেন্দ্রীয়। শিক্ষাবিদ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে তার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ বাতিল হয়েছে এবং এ জন্য সেটি সিন্ডিকেটের কর্তৃক সাময়িকভাবে বাতিলও করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, তাঁকে বিজয়ী বলে গণ্য করা হয়নি, কারণ তার বৈধ ছাত্রত্বই ছিল না। এই কারণেই, তদন্ত কমিটি ডাকসুর জিএস নির্বাচনের জন্য গত নির্বাচনের ফলকে অবৈধ বলে মনে করছে। আপাতত, এই অবস্থা চলমান থাকাকালে, রাশেদ খান নামে এক ছাত্র এই সিদ্ধান্তের ফলে নিজেকে অধিকতর ন্যায়বিচার লাভের একটি সুযোগ হিসেবে দেখছেন। তাদের অভিযোগ, অনেক শিবিরের প্রার্থী এবং ভোটের সঙ্গে জড়িত অনিয়মের কারণে ২০১৯ সালের নির্বাচনে সঠিক ও স্বচ্ছ ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়নি। নির্বাচন কমিশনের হিসেব অনুযায়ী, ভিপি পদে নুরুল হক নুর ঠিক ১১ হাজার ৬২ ভোট পেয়েছিলেন, যেখানে অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন মাত্র ৯ হাজার ১২৯ ভোট পেয়েছিলেন। অন্যদিকে, ছাত্রলীগের গোলাম রাব্বানী দাবি করেছিলেন ১০ হাজার ৪৮৪ ভোট, তবে তার আনুষ্ঠানিক বিজয় ঘোষণা হয়েছিল। তদন্ত প্রতিবেদনে বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে, যেমন ভোট কারচুপি, অনবাস্থিক ভোটারদের বাধা, ভোট কেন্দ্র দখল, অবৈধ সিল মারা, ভোটের ভয়ভীতি ও ভর্তি সংক্রান্ত দুর্নীতি। এসবের ভিত্তিতে, বিশ্লেষণে উঠে এসেছে, দীর্ঘদিনের অপেক্ষার পর রাশেদ খান নতুন জিএস হিসেবে নির্বাচিত হতে পারেন, যদি গোলাম রাব্বানীর ভর্তির অবৈধতা নিশ্চিত হয়। তিনি এখন ন্যায়বিচারের জন্য অপেক্ষা করছেন এবং তার জন্য সব ধরনের আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার অপেক্ষায়। আসন্ন তদন্তের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এরপরের পদক্ষেপ হবে ফলাফলের যথাযথ সত্যতা নিশ্চিত করে, যা নতুন নেতৃত্বের দিক নির্দেশ করবে।

