ম্যাচের ভাগ্য পেন্ডুলামের মতো দুলেছে, কোথায় কোন দল এগিয়ে যাচ্ছে সেটা বোঝা কঠিন ছিল। এক দিকে বাংলাদেশের জেতার জন্য একটুখানি আশা ছিল, অন্য দিকে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে জয় অনিবার্য ছিল। খেলাটি রোমাঞ্চকর পরিবেশে মজে যায় নানা উত্থান-পতানে, যেখানে জয়ের জন্য দাঁড়িয়ে ছিল দুই দল। অবশেষে, বাংলাদেশের লিটন দাসের দলের কাছে শেষ পর্যন্ত ৮ রানের জরুরি victory এসেছে। এই জয়ের ফলে তারা সুপার ফোরের মূল দৌড় থেকে ছিটকে যাওয়ার থেকে রক্ষা পেল, অর্থাৎ আগামী ম্যাচগুলিতে ইতিবাচক আশা জেগে থাকল। একই সঙ্গে, খাদের কিনারা থেকে ফিরে আসা বাংলাদেশ এখনো টিকে থাকায় তাদের জন্য বড় প্রেরণা হিসেবেই দেখছেন সমর্থকরা। যেহেতু হারলে তাদের বিদায় নিশ্চিত হওয়া ছিল, তাই এই জয় ছিলো বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে উদ্বেগ ছিল টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে শক্তিশালী আফগানিস্তানের বিপক্ষে, যারা সাম্প্রতিক দিনগুলিতে বেশ দাপট দেখিয়েছে। তবে দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা জানেন, বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা শুরু থেকেই দাপট দেখিয়েছে বল হাতেও এবং ব্যাটেও। শুরুতে ব্যাট হাতে উজ্জ্বল ঝলক দেখিয়ে শেষ মুহূর্তে কিছুটা হলেও স্লো হয়ে গেলেও, বল হাতে শান্তি ও নিয়ন্ত্রিত পারফর্মেন্স দেখিয়েছে নাসুম ও রিশাদ। শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের জয় ছিল ৮ রানে, যেখানে আগে প্রথমে ব্যাট করে ১৫৪ রান করে বাংলাদেশ। আফগানিস্তান ২০ ওভারে ১৪৬ রান তুলে হার মানে। শেষ বলে নুর আহমাহকে ফিরিয়ে দেন তাসকিন আহমেদ। বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল এই জয়, যা দেশের বাইরের তেমন কোনও টি-টোয়েন্টি ম্যাচে প্রথম জয়। এই ম্যাচে বাংলাদেশের রান ছিল ১৫৪/৫, যেখানে ম্যাক্সিমাম রান তামিম ৫২, ভাই সাইফ ৩০, হৃদয় ২৬, শামীম ১১, ও জাকের ১২*। আফগানিস্তানের ইনিংস ছিল ১৪৬, যেখানে গুরবাজ ৩৫ রান করেন, ওমারজাই ৩০, রাশিদ ২০। ম্যাচের ধারায় ছিল উত্তেজনা, যেখানে বাংলাদেশ জিতেছে শেষ পর্যন্ত ৮ রানে, এবং এই জয়ের ফলে তাদের সুপার ফোর্সে যাওয়ার স্বপ্ন জেগে উঠেছে।