নরসিংদী সদর উপজেলার আলোকবালীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মারাত্মক সংঘর্ষ ঘটে গেছে। এই সংঘর্ষে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান এবং আরও অন্তত পাঁচজন আহত হন। পরিস্থিতি দ্রুতই উত্তপ্ত হয়ে উঠে, এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার সময়, যখন আলোকবালী ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক শাহ আলম চৌধুরী ও বহিষ্কৃত সদস্যসচিব আব্দুল কাইয়ুম মিয়ার একই গোষ্ঠীর মধ্যে এই সংঘাত হয়। আহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নিহত ইদন মিয়া, ৫৫ বছর বয়সী, মুরাদনগর গ্রামের বাসিন্দা। তবে আহতদের পরিচয় ও সংখ্যা এখনো নিশ্চিত করে জানা যায়নি। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকেই উভয় গোষ্ঠীর মধ্যে আধিপত্যের কারণে বিভাজন শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আজ বৃহস্পতিবার ভোরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
মূলত, নদী থেকে বালু উত্তোলন, দখল ও বিভিন্ন আধিপত্যের লড়াই এই সংঘর্ষের মূল কারণ। আলোকবালী ইউপি বিএনপির আহ্বায়ক শাহ আলম চৌধুরী ও বহিষ্কৃত সদস্যসচিব কাইয়ুম মিয়ার মধ্যে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগের কারণে বিবাদের সূচনা হয়। তাঁরা পৃথকভাবে দলীয় কর্মসূচি পালন করায় এই বিরোধ আরও চরম আকার ধারণ করে। কিছু সময়ের মধ্যে এই বিবাদ মারাত্মক রূপ নিয়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়। পথে গুলির বিস্ফোরণে একজন ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং আরও পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন।
নরসিংদী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমদাদুল হক বলেন, ‘আমরা পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছি। পরিস্থিতি এখন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।’