দেশের শেয়ার বাজারে লেনদেনের পরিমাণ ধীরে ধীরে হ্রাস পেয়ে ৩০০ কোটি টাকার নিচে চলে এসেছে। গতকাল বুধবার ঢাকার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রামের সিএসই—দুই স্টক এক্সচেঞ্জ মিলিয়ে মোট লেনদেনের পরিমাণ ছিল নিঃসন্দেহে হতাশাজনক। এই দিন ডিএসই’র বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে, যা বাজারের কিছুটা অবনতি সূচক করছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গতকাল ডিএসইতে মোট ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে ১৪৫টির শেয়ার মূল্য বাড়লে, ১৭৮টির দর কমে গেছে। অন্যদিকে, ৭৪টির দর অপরিবর্তিত থাকছে। এর ফলে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৫ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৯৪০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। একইসাথে, বাছাই করা ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯৭৪ পয়েন্টে এবং ডিএসই শরিয়াহ সূচক ০.৫৭ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৭৭০ পয়েন্টে পৌঁছেছে।
তবে সূচক কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও, দিনভর লেনদেনের পরিমাণ কমে ৩০০ কোটি টাকার নিচে নেমে এসেছে। গতকাল ডিএসইতে মোট লেনদেন দাঁড়িয়েছে ৩৫৫ কোটি ৪ লাখ টাকা, যা আগের কার্যদিবসে ছিল ৪৭৮ কোটি ১ লাখ টাকা। এই দিক থেকে হিসেব করলে, লেনদেনের পরিমাণে প্রায় ১২২ কোটি ৯৭ লাখ টাকার বিশাল ক্ষতি হয়েছে। এটি গত ২৩ জুনের পর সর্বনিম্ন লেনদেনের ঘটনা।
শেয়ার বাজারে সবচেয়ে বেশি লেনদেনের ভিত্তিতে, ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৭ কোটি ১১ লাখ টাকার। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগের শেয়ার, যার লেনদেনের পরিমাণ ১৪ কোটি ১১ লাখ টাকা। তৃতীয় স্থানে রয়েছে প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, যার শেয়ার লেনদেন ১৩ কোটি ৬২ লাখ টাকা।
অপরদিকে, শেয়ার বাজারের শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং, রূ পালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, প্রগতি ইন্স্যুরেন্স, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, লাভেলো আইসক্রিম, ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক এবং সোনালী পেপার।
অপর বাজার সিএসইতে, মোট ১৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭২টির, কমেছে ৯৩টির, এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টির দর। ফলে, এই বাজারের সূচক কমে গেছে ১৩ পয়েন্ট। গতকাল সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ২৮ লাখ টাকা, যা আগের কার্যদিবসে ছিল ১২ কোটি ২৩ লাখ টাকা।
সংক্ষিপ্তভাবে, দেশের শেয়ার বাজারে এখনো তার পতনের ধারা অব্যাহত রয়েছে এবং ব্যবসায়ীরা শেয়ার কেনা ও বিক্রার বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি।