গাজায় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ইসরায়েলি বাহিনী নতুন করে হামলা চালিয়েছে, এতে কমপক্ষে ১৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এই হামলার ঘটনা ঘটেছে যখন দক্ষিণ রাফায় কিছু পাল্টাপাল্টি গোলাগুলির মধ্যে ইসরায়েলি একটি সেনা আহত হন। এর জের ধরে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু গাজায় বড় ধরনের হামলার নির্দেশ দিয়েছেন। এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
অন্যদিকে, হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসাম ব্রিগেডস ইসরায়েলি এই হামলার জন্য যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে এসব জানিয়েছে। এ ছাড়া তারা জানিয়েছে, নিখোঁজ এক জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর প্রক্রিয়া আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। এক বিবৃতিতে তারা সতর্ক করে বলেছে, যদি ইসরায়েল বড় ধরনের উস্কানি দেয়, তবে গাজায় মৃতদেহ উদ্ধারে অভিযান ব্যাহত হবে এবং বাকী ১৩ জন জিম্মির মরদেহ উদ্ধার দেরি হবে।
গাজার চিকিৎসা সূত্রগুলো জানায়, মঙ্গলবার উত্তর গাজা শহরের সাবরা পাড়ায় একটি আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি হামলায় চারজন নিহত হন। একই সময়ে দক্ষিণ খান ইউনিসে আরও পাঁচ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এসব হামলায় অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।
গাজার আল-শিফা হাসপাতালের পাশে এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটেছে, যেখানে গাজা আকাশে বড় ধরনের সামরিক কার্যক্রম চলাচ্ছে। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ড্রোন উড়ছে ও বড় ধরনের হামলা চালানো হচ্ছে। এই সব ঘটনার কারণে সাধারণ ফিলিস্তিনিরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।
বিরোধীদের মধ্যে, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো ডি ভ্যান্স জানিয়েছেন, এই হামলার কারণে যুদ্ধবিরতি তত্ক্ষণাতই বিঘ্নিত হয়নি। তিনি বলেছেন, “অর্থাৎ এখান-ওখানে ছোটখাটো সংঘর্ষ চলতে পারে। আমরা জানি গাজায় হামাস বা অন্য কেউ ইসরায়েলি সেনাদের ওপর আঘাত হেনেছে, আর আমি আশা করি ইসরায়েল উপযুক্ত জবাব দেবে। তবে আমি মনে করি, শান্তি স্থিতিশীল থাকবে।”
অন্যদিকে, হামাস রাফাহতে সংঘটিত ঘটনার সঙ্গে নিজেদের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করে দাবি করেছে, তারা চুক্তি অনুযায়ী চলেছে। হামাসের অভিযোগ, ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলাকে স্পষ্টভাবে যুদ্ধবিরতিকে লঙ্ঘন বলে মনে করছে। তারা আরও বলেছে, শান্তি ও ধর্মসম্মত সমঝোতা রক্ষার জন্য সব পক্ষের প্রতি তারা আহ্বান জানাচ্ছে।
 
			 
		    
