বাংলাদেশ ফরেস্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএফএ) এর চট্টগ্রাম অঞ্চলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বর্ধিত সভা কক্সবাজারের হোটেল মিডিয়া ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের হল রুমে অনুষ্ঠিত হয়েছে। উৎসবমুখর পরিবেশে এই সভায় ফরেস্টার্স, ডেপুটি রেঞ্জারসহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দরা অংশগ্রহণ করেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএফএ চট্টগ্রাম অঞ্চলের সভাপতি মো. সরওয়ার জাহান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা মাজহারুল ইসলাম। প্রধান আলোচক ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক আমিরুল হাছান। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব খাঁন জুলফিকার আলী, যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান, ঢাকা আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম, রাঙামাটি আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম হাফিজসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক নেতৃবৃন্দ।
সভায় সংগঠনের চলমান কার্যক্রম, মাঠ পর্যায়ে সংগঠনকে শক্তিশালী করার পরিকল্পনা ও ভবিষ্যৎ লক্ষ্য নিয়ে গভীর আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত ডেপুটি রেঞ্জারদের ফুল দিয়ে বরেণ্য সংবর্ধনা দেওয়া হয়। একইসঙ্গে পদোন্নতি, বেতন গ্রেড উন্নীতকরণ, মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রমের দ্রুততা বৃদ্ধি, বন দস্যুদের হামলায় আহত বা নিহত ফরেস্টার ও ডেপুটি রেঞ্জারদের কল্যাণ, এবং কমিটির শূন্য পদ পূরণের বিষয়ে আলোচনা হয়।
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, সংগঠনের শক্তি, ঐক্য ও শৃঙ্খলা বজায় রেখে বিএফএ এর কার্যক্রম আরও সুসংগঠিত ও কার্যকর করে সদস্যদের ন্যায্য অধিকার রক্ষা করা হবে। নেতৃবৃন্দ স্পষ্ট করেন যে, ফরেস্টার ও ডেপুটি রেঞ্জারদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে কোনও অপতৎপরতা বা বিভ্রান্তিকর প্রচারণার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করা হবে।
প্রধান আলোচক আমিরুল হাছান প্রকাশ করেন, তিনি সব সংগঠনের মধ্যে ঐক্য ও সুসম্পর্ক বজায় রাখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। দেশের যেকোনো স্থান ও পরিস্থিতিতে ফরেস্টার ও ডেপুটি রেঞ্জারদের স্বার্থে একত্র হয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। এছাড়াও স্কেল মামলার হালনাগাদ, পদোন্নতি, নিয়োগবিজ্ঞপ্তি, পূর্ণমিলনী আয়োজন, পে কমিশনের মত বিষয়গুলোতেও আলোচনা হয়েছে।
সভায় বক্তব্য প্রদান করেন উপদেষ্টা মোজুরুল ইসলাম, আব্দুল মান্নান, চট্টগ্রাম অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক শাহানশাহ নওশাদ, সমীর রঞ্জন সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুল হক, এমদাদুল হক, জুয়েল চৌধুরী, এমদাদুল হাসান টগর, মো. রোকনুজ্জামানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। সকলেই একমত হয়ে বলেন, একসাথে কাজ করে বিএফএ এর অগ্রগতি আরও ত্বরান্বিত করবে তারা।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন জুয়েল চৌধুরী। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হয়ে ধর্মভরে আলোচনা ও মতবিনিময় শেষে রাত ১১টায় সভার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
এটি ছিল বিএফএ এর গুরুত্বপূর্ণ এক সংবর্ধনা ও পরিকল্পনা সভা, যা সংগঠনের ভবিষ্যৎ কার্যক্রমের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

