জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) তাদের সংসদে যাওয়ার বিষয়টি নির্ভর করবে বিএনপির সিদ্ধান্তের উপর। গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর এ বিষয়টি বিশদে বলেন, এনসিপির অনেক ক্ষেত্রে সংসদে যাওয়া বা এমপির সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত বিএনপির কাছ থেকে আসবে। তিনি উল্লেখ করেন, বিএনপির নেতাদের সঙ্গে এনসিপির সম্পর্ক ইতিমধ্যেই নানা ধরনের অসম্মানজনক ও তির্যক মন্তব্যে ভরপুর, যা খুবই অরুচিকর। এই সম্পর্কের শেষ কোথায় যায়, সেই রহস্য তিনি নিজেও জানেন না। তিনি আজ একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে এসব কথা বলেন। এছাড়া, নুরুল হক নুর মনে করেন, বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতা করার জন্য অনেক নেতার বিভিন্ন ব্যক্তিগত বাসায় যাওয়া, সম্পর্ক রাখা চলমান – অথচ একবার মিডিয়ায় ফাঁকা আওয়াজ করা হয়। এই দ্বৈততা বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। জোটের বিষয়েও নুর বলেন, মূলত নির্বাচনী জোটের বিষয়ে তাদের আলোচনা হয়নি। তবে, মাঝখানে কিছু রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা সংস্কার কমিশনের আলোচনা নিয়ে বসেছিলেন। সেখানে তারা দেখেছেন, কিভাবে তারা পজিশন নিবে এবং বিএনপি সঙ্গেও আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতা করতে পারবে। নুর উল্লেখ করেন, বিএনপি আসলে গুরুত্বপূর্ণ স্টেকহোল্ডার, তাই তাদের সঙ্গে আলোচনাও গুরুত্ব পেয়েছে। তিনি আরো জানান, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে, তফসিল ডিসেম্বর মাসে ঘোষণা হবে এবং নির্বাচনের পাশাপাশি গণভোটও হবে – এগুলো কোনো নতুন কথা নয়, সকল দলের মতামত। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি এখন খুব অরিয়ারড বা দ্বিধাগ্রস্ত নয় বলে তিনি মনে করেন।
			
		    
