ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার বান্দুরা ইউনিয়নের মোহাব্বতপুর গ্রামে ভাইকে তালাবদ্ধ করে রেখে তার বোনকে ধর্ষণের একটি ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে। সোমবার বিকেলে এই ঘটনা ঘটে, যা বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। ঘটনার মাত্র ২৪ ঘণ্টা পর, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নবাবগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন শিশুটির মা, এরপরই পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করে। বুধবার দুপুরে ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী এবং ভিকটিম পরিবারের সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন শিশুটি এবং তার বড় ভাই, যারা দুইজনই তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী, স্কুল থেকে ফিরে বাড়িতে ছিল। মা পাশের মঞ্চে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ছিলেন। ওই সময় অভিযুক্ত আলাউদ্দিন (২০), যিনি রাজমিস্ত্রির কাজ করেন এবং মাদকাসক্ত, শিশুর ভাইকে একটি রুমে তালা দিয়ে আটকে রাখে। পরে জোরপূর্বক ওই শিশুকে ডেকে অন্য ঘরে নিয়ে যায় এবং সেখানে ধর্ষণ করে। এ সময় তার মা কাজের জন্য বাড়িতে আসলে, শিশুটি কান্নাকাটি করতে থাকলে, দৌড়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত যুবক।
আমের মা রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটিকে পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার শুরু করেন। প্রতিবেশীরা দ্রুত হাজির হয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করেন এবং প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। স্বামী প্রবাসে থাকায় পুলিশকে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। রাতের দিকে পুলিশ অভিযুক্ত আলাউদ্দিন ভূইয়াকে গ্রেপ্তার করে। এরপর ভিকটিমের চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয় এবং আদালতেও আজ তার জবানবন্দি দিতে বলা হয়েছে।
ভিকটিমের মা জানান, এখনও তার মেয়ে ভয় ও আতঙ্কে ভুগছে। তিনি বলেন, জেনেছি, অভিযুক্ত যুবক একজন বখাটে এবং মাদকাসক্ত। এই ঘটনায় তিনি আইনি ব্যবস্থা নিতে চান, যাতে তার মেয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।
নবাবগঞ্জ থানার ওসি, মমিনুল ইসলাম, বলেন, ‘আমরা অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছি। ভিকটিমের প্রয়োজনীয় সব চিকিৎসা সম্পন্ন হচ্ছে।’ এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আলোচনা ও চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

