নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুরিতে গত ২ নভেম্বর থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত কৃষকদের জন্য বিভিন্ন ধরনের বীজ এবং সার বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই সময়কালে মোট ৪২৫০ জন কৃষককে কৃষি ও সবজি বীজ সহ বিভিন্ন ধরনের সার প্রদান করা হয়েছে। সরকারি সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, খালিয়াজুরী এলাকাটি হাওয়ার উপযোগী একটি অঞ্চল, যার আয়তন প্রায় ২৯৭.৬৪ বর্গ কিলোমিটার এবং মোট কৃষি জমির পরিমাণ প্রায় ২৪ হাজার ৭৪৬ হেক্টর। ছয়টি ইউনিয়নের ১৮টি ব্লকে প্রায় ২৫ হাজারের বেশি পরিবার এই জমিতে চাষাবাদ করে থাকেন। বিতরণকৃত পণ্যগুলোর মধ্যে সবজি বীজ ২৫০ জন, ১ কেজি সরিষা সহ ১০ কেজি এমওপি ও ১০ কেজি ডিএপি সার ৪০০ জন, উপশি ধান বীজসহ ১০ এমওপি ও ডিএপি সার সহ ৯০০ জন, এবং ২,৭০০ জন কৃষককে ২ কেজি হাইব্রীড ধান বীজ দেওয়া হয়েছে। এই অর্থে কৃষকদের মাঝে চাষের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে রিপন মিয়া, বিপ্লব সরকার, মোফাজ্জল মিয়া, ওয়াসিম মিয়া, কান্চন মিয়া, পাণ্ডব সরকার, আবুল হোসেন, রাসেল মিয়া, ইসহাক মিয়া, সাবান আলী, মজnunু মিয়া ও রোকসানা আক্তার সবাই বলেন, তারা সময়মত সবজি, সরিষা ও ধানের বীজ সহ সার পেয়ে সন্তুষ্ট। তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এ বছর ভালো ফসল হবে এবং জমিতে দ্রুত রোপন করতে পারবে।বিশ্লেষকদের মতে, এ বছর খালিয়াজুরীতে কৃষকদের বীজ ও সার সরবরাহ সময়মত হওয়ায় ধানের চারার রোপনে কোনো সংকটের সম্ভাবনা নেই। স্থানীয় বীজ ব্যবসায়ী ও উপজেলা প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব মোঃ সোহান বিন নবান বলেন, এই বছর কৃষকদের বীজ ও সার সময়মত পাওয়ায় তারা ধানের চারা রোপনের জন্য প্রস্তুত।আলোচনায় বক্তারা আরও বলেন, সরকারি উদ্যোগে সঠিক সময়ে সার ও বীজ বিতরণ হয়েছে, যা কৃষকদের জন্য অনেকটাই সুবিধাজনক। তবে, ভবিষ্যতে অনাকাঙ্ক্ষিত বন্যা থেকে ফসল রক্ষা করতে বেড়িবাঁধগুলো দ্রুত মেরামত করার প্রয়োজন রয়েছে।উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ দেলোয়ার হোসেন জানান, সরকারের সহায়তায় কৃষকদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে সারের স্টক রয়েছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এই বছর ভালো মানের বীজের চারা জন্মাবে এবং কৃষকেরা সময়মত ধানের চারা রোপন করতে পারবে।উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নাদির হোসেন শামীম বলেন, সময়মত সবজি, সরিষা ও ধানবীজ সহ সার বিতরণের কারণে এখনই ধানের চারা রোপন শুরু করা যাবে। এরপরও, বন্যা থেকে রক্ষা পেতে বেড়িবাঁধগুলো পুনর্বার মেরামতের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। উদ্ধৃত তথ্য মতে, এ উদ্যোগের ফলে কৃষির উন্নয়ন ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে বলে আশা প্রকাশ করছে সবাই।

