বর্ণাঢ্য উৎসাহে পূর্ণ dayব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়েছে দশম ইউরোপিয়ান আর্ট হাউস সিনেমা ডে। রবিবার সকালে এটি উদ্বোধন করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রনালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা। সভাপতির বক্তৃতায় তিনি বলেন, এই ধরনের আর্টহাউস সিনেমা শান্তি প্রতিষ্ঠা ও বৈশ্বিক সংযোগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দর্শকদের মধ্যে সংলাপ ও মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করতে এই সিনেমাগুলোর অবদান অপরিহার্য।
মাহবুবা ফারজানা আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকার তরুণ প্রতিভাবান নির্মাতাদের বিকাশে গভীরভাবে মনোযোগী। তারা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে থেকে সৃষ্টি করে মহিমাম্বিত শিল্পকর্ম, যা আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরে। তিনি উল্লেখ করেন যে, আর্টহাউস সিনেমা সাধারণত রাজনৈতিক ও সামাজিক চ্যালেঞ্জের পেছনের মানবিক গল্পগুলো তুলে ধরে, যা সংবেদনশীলতা ও সহানুভূতি বৃদ্ধিতে সহায়ক।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক এম জাভেদ ইকবাল, গেটে ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফ্রাঙ্ক ওয়ার্নার, জার্মান দূতাবাসের কালচারাল শাখার প্রধান সিল্কি ইসমির, এবং ফ্রান্স দূতাবাসের কালচারাল শাখার প্রধান ব্যাপ্টিস্ট লেবার্ট। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ইন্টারন্যাশনাল একাডেমি অব ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়ার নির্বাহী পরিচালক বিবেশ রায়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর দিনব্যাপী দুটি প্যানেল ডিসকাশন অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমটি ছিল চলচ্চিত্র নীতিমালা: প্রদর্শন ও পরিবেশনের ওপর, যেখানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মিহির মশিউর। এই আলোচনায় সঞ্চালনা করেন আকতানিন খায়ের তানিন, গ্রিন ম্যানেজার, ইন্টারন্যাশনাল একাডেমি অব ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া। দ্বিতীয় প্যানেলটিতে আলোচনা হয় ডিজিটাল যুগে আর্ট হাউস সিনেমার প্রদর্শনের বিষয়ে, যেখানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন চলচ্চিত্র নির্মাতা মোহাম্মদ নূরুজ্জামান। সঞ্চালনা করেন মোহাম্মদ নূরউল্লাহ, বাংলাদেশ ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজের সাধারণ সম্পাদক।
অতিরিক্তভাবে, ডাবলিন থেকে অনলাইনে মাস্টার ক্লাস পরিচালনা করেন ম্যাভি কুকি, যার সঙ্গে CICAE সংস্থার প্রশিক্ষক। এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা আধুনিক চলচ্চিত্রের বিভিন্ন দিক ও প্রযুক্তির বিষয়ে খোলিয়াল আলোচনা ও প্রশিক্ষণে অংশ নেন।

