চার সপ্তাহের ট্যুর শেষ করে বাংলাদেশে ফিরে এসেছেন বাংলাদেশের প্রতিনিধি ও মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ তানজিয়া জামান মিথিলা। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বিমানবন্দরে সবাই উপস্থিত ছিলেন, যেখানে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন এবং দেশের মানুষের ও বিনোদন জগতের সকল সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে থাইল্যান্ডে যান তানজিয়া মিথিলা, যেখানে তিনি ৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। প্রতিযোগিতার ক্যাম্প রাউণ্ডে তিনি সেরা ৩০-এ স্থান করে নেন। যদিও তিনি মুকুট জিততে পারেননি, তবে দেশের প্রতিনিধিত্ব করে অর্জিত সাফল্য তাকে অনেক বেশি সন্তুষ্ট করেছে।
মিথিলা বললেন, তাদের মূল লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরা। তিনি বলেন, আমি এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে অনেক কঠিন পরিশ্রম করেছি, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দৃঢ়চিত্তে থেকেছি। দেশের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে প্রতিভাবান তারকারা সবাই আমার প্রতি যে বিশ্বাস ও ভালোবাসা দেখিয়েছেন, তা আমাকে গভীর ভাবে অভিভূত করেছে।
বিমানবন্দরে তিনি আরও প্রকাশ করেন, বাংলাদেশের জন্য আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। ভবিষ্যতের প্রতিযোগীদের জন্য আমাদের এই একত্রিত প্রচেষ্টা আরও শক্তিশালী করা দরকার, যাতে তারা সহজে এই প্ল্যাটফর্মে উঠতে পারে। আমরা আশা করছি, পরবর্তী প্রজন্মের জন্য আমাদের অভিজ্ঞতা ও পরামর্শ কাজে লাগবে।
মিথিলা বলেন, এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া নিঃসন্দেহে কঠিন ছিল। অনেক দেশ দীর্ঘ տարին ধরে চেষ্টা করেও সফলতা পাননি। তবে, আমাদের দেশের সহযোগিতা ও সমর্থন থাকলে তা সম্ভব। যারা আমাকে ভোট দিয়েছেন, তাদের সবাইকে আমি মনে করিয়ে দিতে চাই, তারা আসলে আমাদের দেশকে ভোট দিয়েছেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে উপস্থাপন করতে নয়, দেশের মর্যাদা ও অস্তিত্ব তুলে ধরতে গিয়েছিলাম।
প্রতিযোগিতার বিভিন্ন ধাপে গুরুত্ব ছিল- ক্লোজডোর ইন্টারভিউ, ইভিনিং গাউন, ন্যাশনাল কস্টিউম ও সুইমস্যুট। সুইমস্যুট পরার বিতর্কের বিষয়ে মিথিলা জানিয়েছেন, এই পরিধান না করলে তিনি সেরা ৩০-এ পৌঁছাতে পারতেন না। তিনি স্পষ্ট করেছেন, তিনি কখনোই দেশের মান ছোট করেননি।
অন্যদিকে, মিস ইউনিভার্স ২০২৫ প্রতিযোগিতা নানা বিতর্কের মধ্যে শেষ হয়। মেক্সিকোর ফাতিমা বশকে ‘অপমান’ করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে, আর এতে প্রতিযোগীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। শেষমেশ, ২৫ বছর বয়সী ফাতিমা বশই প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত বিজয়ী হন।
আজকের খবর / বিএস

