গাজীপুরের টঙ্গীর সাহারা মার্কেটে কেমিক্যাল গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে আগুন নেভাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে শহীদ হওয়া তিন ফায়ার ফাইটারের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ। এই ত্যাগের মূল্যায়ন হিসেবে তাদের পরিবারের হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দিয়েছেন গ্রুপের চেয়ারম্যান সায়েম সোবহান আনভীর।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরে এ সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কর্মকর্তারা। বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা হস্তান্তর করেন মহাব্যবস্থাপক (কেন্দ্রীয় প্রশাসন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সৈয়দ জামিল আহসান। এ সময় নিহত তিন ফায়ার ফাইটারের পরিবার—শহীদ মো. নুরুল হুদার বাবা মো. আবুল মনসুর, শহীদ শামীম আহমেদের স্ত্রী মনিরা আক্তার এবং শহীদ খন্দকার জান্নাতুল নাঈমের স্ত্রী ফারজানা ইসলাম মিতু—তাদের হাতে এই আর্থিক সহায়তা গ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল। তিনি বলেন, “অতীতে ফিরে যাওয়ার কোন উপায় নেই, তবে যারা জীবন উৎসর্গ করেছেন তাদের পরিবারগুলোসহ সকলের পাশে দাঁড়ানো আমাদের দায়িত্ব। আনভীর ও বসুন্ধরা গ্রুপের এই সহায়তা তাদের জন্য বড় উৎসাহ ও শক্তি জোগাবে।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের একদিনের বেতন থেকে তহবিল গঠন করে নিহত পরিবারগুলোর জন্যও সাহায্য প্রদান করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কর্মকর্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ আজাদ আনোয়ার, উপপরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মো. ওহিদুল ইসলাম, উপপরিচালক (ঢাকা) মো. ছালেহ উদ্দিন প্রমুখ।
বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সৈয়দ জামিল আহসান বলেন, “চেয়ারম্যান সবসময় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের সাহস ও সমর্থনে থাকেন। শহীদ ফায়ার ফাইটারদের পরিবারের দায়িত্ব আমাদের সমাজের, তাই এই সহায়তা দেওয়া হয়েছে।” তিনি আরও জানান, গ্রুপের চেয়ারম্যান গভীর শ্রদ্ধা, দোয়া ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন শহীদদের প্রতি।
গত সেপ্টেম্বরে গাজীপুরের টঙ্গীর সাহারা মার্কেট এলাকার কেমিক্যাল গোডাউনে ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ডে তিন ফায়ার ফাইটার আত্মোৎসর্গ করেছিলেন। তাদের বীরত্বের জন্য এই উদ্যোগকে সবাই ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করছে এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারাও এ উদ্যোগকে প্রশংসা করছেন।

