পাবনার ঈশ্বরদীতে বিএনপি ও জামায়াতের সমর্থকদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই সংঘর্ষে গুলিবর্ষণ, অগ্নিসংযোগ এবং ধ্বংসাত্মক কাজের পাশাপাশি নেতাকর্মীরা গুরুতর আহত হয়েছেন। নিহতের সংখ্যা না জানালেও, প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী অন্তত অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী এই ঘটনায় আহত হয়েছেন। এ ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঈশ্বরদীর সাহাপুর ইউনিয়নের জগির মোড় ও চর আলহাজ্ব মোড় এলাকায়। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রের বিবরণে জানা গেছে, কয়েক দিন আগে সাহাপুর ইউনিয়নের কৃষক দলের সভাপতি মক্কেল মৃধার সঙ্গে স্থানীয় জামায়াত নেতা ইকবাল হোসেনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এ ঘটনার প্রভাব এখনো অব্যাহত থাকায় ওইদিন বিকালে জামায়াতের নেতারা নিজেরা সমর্থকদের নিয়ে সাহাপুরের আলহাজ্ব মোড় এলাকায় যান। সেই সময় জগির মোড় নামক স্থানে সাহাপুর ইউনিয়নের কৃষক দলের সভাপতি মক্কেল মৃধা ও তার ছেলে মনিরুল ইসলামকে দেখে অতর্কিত প্রথম হামলা চালায় জামায়াতের নেতাকর্মীরা। খবর পেয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরাও পাল্টা আক্রমণে নামে। কিছু ক্ষণের মধ্যেই ঘটনাটি চর আলহাজ্ব মোড়েও ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে গুলির আওয়াজ, গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে। এইসব ঘটনায় জামায়াতের প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন, যার মধ্যে জামায়াতের জেলা আমির ও প্রার্থী আবু তালেব মণ্ডলও রয়েছেন। তার পাশাপাশি আরও অনেক নেতাকর্মী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সাধারণ মানুষ এই ভয়াবহ সংঘর্ষের কারণে অতিষ্ঠ ও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। এই ঘটনায় মর্যাদাপূর্ণভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে এই সংঘর্ষের মূল কারণ ছিল গত দুই দিনের পূর্বের বিরোধ। জামায়াতের নেতৃত্ব এবং তাদের সমর্থকদের অরাজকতা ও অস্ত্রের উপস্থিতি থেকে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছিল। ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রণব কুমার জানান, সংঘর্ষের সময় প্রায় অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়। এই ঘটনাটি নিয়ে তারা তদন্তসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন। সাধারণ মানুষের মধ্যে এই অস্থিরতা ও আতঙ্ক এখনো প্রকাশ পাচ্ছে।

