সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার হলদে বুনিয়া এলাকার ছায়া নদীতে বনবিভাগের অভিযানে জব্দ করা ৮৬ কেজি ৫০০ গ্রাম মাছ নিলামে যথাযথ মূল্য না পাওয়ায় তা বিতরণ করা হয়েছে। বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে এসব মাছ স্থানীয় পাঁচটি এতিমখানা ও মাদ্রাসায় দেওয়া হয়। রোববার (৩০ নভেম্বর) বিকালে সাতক্ষীরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সম্মেলন কক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে মাছগুলো এসব প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর আগে, শনিবার (২৯ নভেম্বর) হলোদেবুনিয়া টহল ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. তানভীরের নেতৃত্বে নিষিদ্ধ অভয়ারণ্যে অভিযান চালিয়ে আট জেলেকে আটক করে বনবিভাগ। এ সময় তাদের কাছ থেকে পাঁচটি নৌকা, মাছ ধরার বড়শি, লাখ্যা, জাবা, গাগড়া, টেংরা, কৈবালসহ বিভিন্ন প্রজাতির মোট ৮৬ কেজি ৫০০ গ্রাম মাছ জব্দ করা হয়। আটক ব্যক্তিরা হলেন, শ্যামনগর উপজেলার কালিঞ্চি গ্রামের গোলাপ সরদারের ছেলে শাহাবুদ্দিন (৪২), আব্দুল কাদের গাইনের ছেলে আজগর আলি, মীর আলির ছেলে রবিউল, চিংড়েখালি গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে নুর ইসলাম, কৈখালি গ্রামের নওশের গাজীর ছেলে আব্দুস সালাম (৫৫), সাহেবখালি গ্রামের মুনসুর সরদারের ছেলে ইসমাইল সরদার (৫৬), কৈখালি গ্রামের ফরমান সরদারের ছেলে মোন্তাজ আলি (৭০) এবং রহমত উল্লাহর ছেলে জলিল সরদার (৫৪)। জব্দকৃত মাছ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির মো. আব্দুল আলিম, বন মামলার পরিচালক শ্যামপ্রসাদ রায়সহ আদালত ও বন বিভাগের অন্য কর্মকর্তারা। বন মামলার পরিচালক শ্যামপ্রসাদ রায় বলেন, ‘নিষিদ্ধ অভয়ারণ্যে প্রবেশের অভিযোগে আটক জেলেদের বিরুদ্ধে ১৯২৭ সালের বন সংরক্ষণ আইনে মামলা দায়ের করে তাদের আদালত হাজির করা হয়েছে। পরে, মূল্য না পাওয়ায় নিলামে জব্দ হওয়া মাছ জেলা পাঁচটি এতিমখানা ও মাদ্রাসায় বিতরণ করা হয়।’ এগুলো হলো: নুরুল কোরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা, দাদপুর দারুস সালাম হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা (তালা, সাতক্ষীরা), কাশিমপুর মদিনাতুল উলুম এতিমখানা ও মাদ্রাসা, মাগুরা এতিমখানা কমপ্লেক্স ও হাফিজিয়া মাদ্রাসা, এবং লক্ষ্মীখালী বাগে জান্নাত দারুল কুরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসা লিল্লাহ বোর্ডিং ও এতিমখানা।

