নির্বাচন কমিশন (ইসি) এনসিপি কে আসন্ন নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে, যেখানে দলের প্রতীক হিসেবে বরাদ্দ হয়েছে ‘শাপলা কলি’। এই সুখবরটি জানিয়ে দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম জানান, তারা এই প্রতীক পেয়ে অত্যন্ত আনন্দিত। বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) বিকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি এ তথ্য প্রকাশ করেন।
নাহিদ ইসলাম উল্লেখ করেন, তিনি নির্বাচন সংক্রান্ত আরপিও (গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ) সংশোধনী নিয়ে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তবে কিছু মহল এই সংস্কার বাতিল করার জন্য চাপ সৃষ্টি করছে এবং আদালতের আশ্রয় নিচ্ছে, যা তিনি নিন্দা করেছেন। তিনি আরও বলেছেন, এনসিপি শুরু থেকেই কেন্দ্রীয় ও তৃণমূল নেতাদের কঠোর পরিশ্রমের ফসল হিসেবে এই সনদ অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। দলের পক্ষ থেকে ইসিকে ধন্যবাদ জানানো হয় এবং তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে, শাপলা কলি প্রতীকে তারা এবার নির্বাচনে অংশ নেবে।
নাহিদ ইসলাম জোড় করে উল্লেখ করেন, প্রত্যেক দলের জন্য স্ব স্ব প্রতীকে নির্বাচন করার সিদ্ধান্তের প্রতি তিনি সমর্থন প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, কিছু রাজনৈতিক শক্তি বিরোধী ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে একক মার্কায় নির্বাচনের চাপ সৃষ্টি করছে এবং আদালতকে ব্যবহার করে এসব সংস্কার বাতিল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে, এনসিপি নির্বাচন কমিশনের কঠোর ও দৃঢ় stance রাখার পক্ষে।
প্রতিনিধিরা আরও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, অর্থের প্রভাব ও ক্ষমতার অপব্যবহার নির্বাচনে বড় বিপত্তি ডেকে আনতে পারে। তারা নির্বাচনী হলফনামার তথ্য যাচাইয়ের খাস নির্দেশনা ও অর্থব্যয়ের বিষয়ে কঠোর নজরদারির দাবি জানান। বিশেষ করে কালো টাকা বা অসাধু আর্থিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন।
অপর দিকে, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বদলির বিষয়ে এনসিপির নেতারা বলছেন, কিছু বদলি রাজনৈতিক প্রভাবের অংশ, যা নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে। এছাড়াও, গণভোটের প্রশ্নের সঠিক প্রচার এবং অপতথ্য রোধে নির্বাচন কমিশনের যথেষ্ট সতর্কতার আহ্বানও জানানো হয়।
এনসিপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে জানানো হয়, নির্বাচন কমিশনের সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদের কাছ থেকে দলটি 공식ভাবে নিবন্ধন সনদ গ্রহণ করেছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের প্রধান সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম।
অবশেষে, এই গুরুত্বপূর্ণ দাপ্তরিক স্বীকৃতি পাওয়ার পর, এনসিপি পৃথক ফেসবুক পোস্টে দেশের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এবং তাদের অবদানের জন্য ধন্যবাদ জানায়। পোস্টে নিবন্ধন সনদের ছবি ও বিস্তারিত তথ্যও অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

