চিকিৎসার জন্য বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও কাতার সরকার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকায় আনার পরিবর্তে অন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। তারা জার্মানি থেকে আধুনিক সুবিধাসংবলিত একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ভাড়ায় নিয়েছে, যা এখন আন্তঃসংযোগের জন্য প্রস্তুত। এই নতুন এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি জার্মানির নুরেমবার্গে অবস্থিত ‘এফএআই এভিয়েশন গ্রুপ’ থেকে নেওয়া হয়। এটি বোম্বার্ডিয়ার চ্যালেঞ্জার সিরিজের দুটি ইঞ্জিনের জেট উড়োজাহাজ, যেখানে বিশেষায়িত চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং প্রশিক্ষিত ডাক্তার, নার্স, প্যারামেডিকসরা থাকবেন। এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটিতে অত্যাধুনিক ভেন্টিলেটর, মনিটরিং ইউনিট, ইনফিউশন পাম্প, অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা ও জরুরি ওষুধপত্র রয়েছে, যা রোগীর দ্রুত ও নিরাপদ পরিবহন নিশ্চিত করবে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানান, এই বিমানে ‘এক্সট্রা করপোরাল মেমব্রেন অক্সিজেনেশন’ (ইসিএমও) সিস্টেমের মাধ্যমে সংকটাপন্ন রোগী পরিবহন সম্ভব, যেখানে কৃত্রিম হৃদপিন্ড বা ফুসফুসের মাধ্যমে জীবন রক্ষা করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় যান্ত্রিক যন্ত্রের মাধ্যমে রক্তে কার্বন ডাই অক্সাইড ছাড়া অন্য সব উপাদান শোষণ করে রোগীর শরীরে পবিত্র অক্সিজেন সরবরাহ করা হয়। এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে অভিজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স এবং বিশেষজ্ঞ প্যারামেডিকসরা থাকবেন, যারা আকাশপথে রোগীর নিরাপদ স্থানান্তর নিশ্চিত করবেন। উল্লেখ্য, এর আগে খালেদা জিয়ার জন্য কাতার এয়ারবัส ৩১৯ সিরিজের একটি উড়োজাহাজ ব্যবহার হয়েছিল, যা বোম্বার্ডিয়ার চেয়েও বড় ছিল। নতুন এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে রোগীকে দ্রুত এবং নিরাপদে পৌঁছানোর লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে কর্তৃপক্ষ, যাতে কোন ধরণের জটিলতা না ঘটে।

