সরকারের অনুমতি না নিয়ে ব্যবসায়ীরা বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম এক লাফে ৯ টাকা বৃদ্ধি করেছেন। একই সঙ্গে, আমদানি না হওয়ায় মৌসুমের শেষ মুহূর্তে পেঁয়াজের দামও আরও বাড়ছে। গত দুই-তিন দিনেই কেজিতে দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা করে। বর্তমানে এক কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকায়।
গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে পেঁয়াজের چنین চিত্র দেখা গেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহের সংকটের কারণে পুরোনো পেঁয়াজের দাম এভাবে চড়ছে। তবে নতুন মৌসুমের মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করেছে, তবে এর পরিমাণ খুবই অপ্রতুল। এখন পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়।
অন্যদিকে, বাজারে সবজির দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে। সরবরাহ বাড়ার কারণে শীতকালীন সবজির দাম ধীরে ধীরে কমে আসছে বলে বিক্রেতারা জানান।
বাজার পরিদর্শন করে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে লম্বা বেগুন ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। তবে এখন এর দাম কমে হয়েছে ৭০-৮০ টাকা। গোল বেগুন এখন ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, সবুজ শিমের দাম ৮০ টাকা থেকে কমে ৫৫-৬০ টাকায় এবং রঙিন শিমের দাম ১০০-১২০ টাকা থেকে কমে ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ফুলকপির মাঝারি আকারের প্রতিটি এখন ৫০-৬০ টাকার বদলে ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাঁধাকপি ও টমেটোর দামও কমেছে। বর্তমানে একটি বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০-৫০ টাকা। টমেটো এখন ৮০-১০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে, যা আগের মতো ১২০-১৪০ থেকে নেমে এসেছে।
সবজি বিক্রেতা এনামুল হক বলছেন, শীতের সবজির সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় বাজারে দামের পতন শুরু হয়েছে। এতে বিক্রিও বেড়েছে।
অন্যদিকে, ডিম ও মুরগির দাম বেশ কিছু সপ্তাহ ধরে স্থিতিশীল রয়েছে। ফার্মের সাধারণ ডিমের দাম প্রতি ডজন ১১৫-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে বহুদিনের ধারাবাহিক দর বৃদ্ধির পর বৃহস্পতিবার ডিমের দাম আবার কিছুটা বেড়েছে। পাইকারিতে ডিমের দাম বেড়ে ১৩০ টাকায় দাঁড়িয়েছে।
ব্রয়লার মুরগির দামও স্থিতিশীল, প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকায়।
আরেকটি বড় সমস্যা হলো, দুদিন ধরেই সয়াবিন তেলের 가격 নিয়ে আলোচনা সর্জন দিয়েছে বাজারে। কারণ, ব্যবসায়ীরা সরকারের অনুমোদন ছাড়া বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়িয়েছেন ৯ টাকা। একই সঙ্গে, ৫ লিটারের বোতল ৪৩ টাকা এবং ২ লিটারের বোতল ১৮ টাকা বেশি বিক্রি হচ্ছে।
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বুধবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সরকারের অনুমতি ছাড়া ব্যবসায়ীরা তেলের দাম বাড়াতে পারেন না। এটা আইনবিরোধী ও অবৈধ। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, আইন লঙ্ঘনের জন্য ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

