ফরিদপুরে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি)-এর ম্যাচিং গ্রান্ট কার্যক্রমের অগ্রগতি দেখার জন্য বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট টিম এসে পৌঁছেছেন। তারা গত ৭ ডিসেম্বর বিভিন্ন উদ্যোক্তার প্রতিষ্ঠানে সরাসরি গিয়ে মাঠ পর্যায়ের কাজের খোঁজ নেন এবং প্রকল্পের ফলাফলগুলো বিশ্লেষণ করেন। অব্যাহত এই অভিযানে গিয়ে তারা জানেন যে, এলডিডিপি প্রকল্পের অন্তর্গত ম্যাচিং গ্রান্টের মাধ্যমে ৪০৪ জন উদ্যোক্তাকে বিভিন্ন পর্যায়ে বিনিয়োগ ও সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এই অর্থের ৬০ শতাংশ উদ্যোক্তার নিজস্ব বিনিয়োগ ও ৪০ শতাংশ প্রকল্পের অনুদান হিসেবে দেওয়া হয়েছে। মূল লক্ষ্য হলো দুধ উৎপাদনকারী গ্রুপগুলোর সাথে বাজার সংযোগ স্থাপন ও প্রসেসিং সুবিধা সম্প্রসারণ। পরিদর্শন চলাকালে তারা প্রথমে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে যান, যেখানে ডা. এ কে এম আসজাদ জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর থেকে প্রকল্পের বিস্তারিত তথ্য প্রদান করেন। এরপর টিম সদর উপজেলার কবিরপুরে ভিলেজ মিল্ক লিমিটেডের ডেইরি হাব পরিদর্শন করেন। সেখানে ব্যবস্থাপনা পরিচালক পাস্তুরাইজেশন প্লান্ট, মিল্ক কালেকশন সেন্টার, উৎপাদন প্রক্রিয়া, বিপণন ও অন্যান্য ইউনিটের কার্যক্রমের বিস্তারিত উপস্থাপন করেন। বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দল বিভিন্ন ইউনিট ঘুরে দেখেন এবং একটি আউটলেটও পরিদর্শন করেন। ভিলেজ মিল্কের দৃষ্টান্তমূলক কার্যক্রম দেখে তারা খুবই সন্তুষ্ট হন—বিশেষ করে Regional Practice Director ডিনা উমালী এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন। পরে তারা কামারপুরে তানিয়া ভার্মি কম্পোস্ট ও জৈব সার কারখানা পরিদর্শন করেন, যেখানে একজন নারী উদ্যোক্তা হিসেবে তার কাজের জন্য তারা প্রশংসিত হন। পরিদর্শন শেষে জেনারেল সন্তোষ প্রকাশ করেন বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তারা এবং আঞ্চলিক প্র্যাকটিস ম্যানেজার দিনা উমালী আরও বিনিয়োগের জন্য উৎসাহ দেন। এই পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন প্রকল্পের চিফ টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর ড. মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, ডেপুটি প্রজেক্ট ডাইরেক্টর ড. হিরন্ময় বিশ্বাস এবং জেলা ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তারা।

