অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল, যিনি অধিকাংশ এলাকার মানুষ এবং তার ভক্তদের কাছে ‘দানবীর’ নামে পরিচিত, তার তার তিন বোনের অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন। বোনরা অভিযোগ করেছেন যে, তিনি পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বহু বছর ধরে তাদের বঞ্চিত করছেন, বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছেন, আর তাদের নিরাপত্তার ওপর পাকিস্তানি জোটের মতো ভয় দেখাচ্ছেন। এই অভিযোগের ফলে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। সংবাদমাধ্যমের সামনে এসে তারা জানায়, তারা প্রায় ৪০ বছর ধরেই বাবার সম্পত্তি থেকে তাঁদের অংশগ্রহণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, কিন্তু তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে দেওয়া হচ্ছে যাতে তারা চুপ থাকেন। তারা অভিযোগ করেন, তাদের বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে ভাইরা তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা বা সমঝোতায় বসেনি; বরং সম্পত্তি নিজের দখলে নিয়ে ভোগ করছেন। তারা আদালতের মাধ্যমে তাদের অধিকার প্রমাণ করতে পেরেছেন, কিন্তু সম্পত্তি ভাগাভাগির বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এক বোন জানায়, তার সন্তান ক্যান্সারে আক্রান্ত হলেও ভাইদের কেউ সাহায্য করেননি। অন্য আরেকজন বলেন, তারা দীর্ঘ বছর ধরে এই সম্পত্তি নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু ভয় ও হুমকির কারণে কার্যকর করতে পারছেন না। এই পরিস্থিতিতে বিপরীতে ডিপজল সামাজিক মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দেন। তিনি লিখেন—’সম্মানিত দেশবাসী, আসসালামু আলাইকুম। সম্প্রতি আমার কিছু বোন আমাকে নিয়ে বিভিন্ন মিথ্যা অপবাদ ছড়িয়েছে, যা আমি আপনারা সবাই জানতে চান। আমার উদ্দেশ্য কারো অপমান করা নয়, বরং সত্য প্রকাশ। আমি আইনের প্রতি বিশ্বাসী ও সম্পূর্ণ আইনি পথে চালিয়ে যাব। আমি সব সময় আমার বোনদের সম্মান ও ভালবাসা দিয়ে এসেছি। আমার এক বোনের ক্যামেরার সামনে সংবাদে বলা হয়, তার অসুস্থ সন্তানের জন্য কেউ সাহায্য করেনি, অথচ আমি তার চিকিৎসার জন্য বিশাল অংকের সহায়তা করেছি। অন্য এক বোন বলে, ১১ বছর ধরে আমার সাথে তার যোগাযোগ নেই, অথচ দুই মাস আগে তাকে ও তার সন্তানকে আমি যথেষ্ট অর্থ সহায়তা করেছি। আমি জানতে চাই, ৩৫ বছর পরে কেন এবং কার প্রেরণায় তারা এমন মিথ্যা বলছে। যদি তাদের সত্যিকার দাবি থাকত, আমি তাদের কাছ থেকে সরাসরি শুনতে প্রস্তুত ছিলাম। আমি দেশের সকলের কাছে আবেদন করি—মামলার শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। সত্য সবাই সামনে আসবে। আমার অসুস্থতার জন্য আমি যা কিছু করেছি, তা আল্লাহর রহমতে। জীবনের শেষ পর্যায়ে এমন আচরণ কষ্টদায়ক। আল্লাহই একমাত্র বিচারক—তিনি সবকিছুর পরিশোধ করবেন।’ তিনি আরও বলেন, যতদিন আইনানুযায়ী সত্য প্রকাশ না হয়, ততদিন ধৈর্য্য ধরা প্রয়োজন। আদালত সত্যের মুখোশ উন্মোচন করবে, আশা করি। তিনি সব ভাইবোনদের উদ্দেশ্যে বলেন, তাঁদের প্রাপ্য অধিকার অবশ্যই ফিরে পাবেন। এভাবেই শেষ করেন, তিনি বলেন—আল্লাহই সবকিছুর উত্তম বিচারক।

