পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় গত পাঁচ দিন ধরে টানা রাতের তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকছে। পরিস্থিতির কারণে এলাকার সাধারণ মানুষ নানা রকম দুর্ভোগে পড়েছেন। শীতের প্রকোপ আরও বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের দৈনন্দিন জীবনও কঠিন হয়ে উঠছে। রাস্তাঘাট, বাড়ির সামনেও খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত কমানোর চেষ্টা করছেন অনেকে। বিশেষ করে নিম্নআয়ের পরিবারের মানুষজন এই হাড়কাঁপানো শীতের জন্য দারুণ কষ্টে রয়েছেন, তাদের যে মাঠে-ঘাটে বের হতে হচ্ছে, তা সত্যিই দুর্বিষহ।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ, এবং ভোরের কুয়াশা ছিল সুনির্দিষ্ট। দিনের বেলায় সূর্য ওঠলেও তাপমাত্রায় খুব বেশি পরিবর্তন হয়নি।
এর আগে, মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) ভোরে একই রকম তাপমাত্রা দেখা যায়, যেখানে বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ। সেই দিনটি ছিল বেশ ঠাণ্ডার জন্য চিহ্নিত। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
অতীতে, সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৪ শতাংশ। একই দিনে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং দিনটি শীতের তীব্রতা নিয়ে ছিল।
সর্বশেষ, রোববার (৭ ডিসেম্বর) তাপমাত্রা নেমে যায় ১০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ। সেই দিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬.৭ ডিগ্রি।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৪ শতাংশ। সেই দিন দিনের তাপমাত্রা ছিল ২৬.৫ ডিগ্রি।
গত কয়েকদিনের এই তাপমাত্রার বড় ধরনের পার্থক্য শীতের তীব্রতা আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, গত পাঁচ দিন ধরে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছে, এবং ভবিষ্যতেও আরও কমতে পারে। এর ফলে শীতের প্রকোপ আরও বেশি অনুভব করা হবে।

