সরকার সচিবালয়ে ভাতা দাবিতে আন্দোলনকারি ১৪ কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। তাদের বিরুদ্ধে করা মামলায় আদালত চার্জশিট গ্রহণ করার পর নিয়ম অনুসারে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) তাদের বরখাস্তের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রায় ছয় ঘণ্টা সচিবালয়ের দপ্তরে অর্থ উপদেষ্টাকে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনা ঘটে ১০ ডিসেম্বর। বাংলাদেশের সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের একটি অংশের নেতৃত্বে এ আন্দোলন হয়। পরবর্তীতে, আবার আন্দোলনে অংশ নেওয়ার সময় পুলিশ তাদের আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয় এবং আদালত তাদের রিমান্ডেও পাঠায়।
বরখাস্ত হওয়া কর্মচারীদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা হলেন- সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি বাদিউল কবির, সহ-সভাপতি শাহীন গোলাম রাব্বানী ও নজরুল ইসলাম। অন্যান্য বরখাস্তকৃতরা gồm- স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে মো. তায়েফুল ইসলাম, বিকাশ চন্দ্র রায়, ইসলামুল হক, মোহাম্মদ মহসিন আলী, রোমান গাজী, আবু বেলাল; তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে মিজানুর রহমান সুমন; জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মচারী কামাল হোসেন ও মোহাম্মদ আলিমুজ্জামান; অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বিপুল রানা বিপ্লব ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নাসিরুল হক।
দাবি পূরণে সরকারের আশ্বাসের পরেও আন্দোলন চালিয়ে যান কর্মচারীরা। তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ক্রমে কঠোর অবস্থানে নেন পুলিশ ও অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। সচিবালয়ের ভিতর থেকে কয়েকজনকে আটক করা হয়।

