হোমনা থানার নারী ও শিশু সহায়তা ডেস্ক কক্ষে এক নারী আসামির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছেন পুলিশ। এই ঘটনা ঘটে বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে, যখন তার মরদেহ ওঁচড়ানো অবস্থায় পাওয়া যায়। নিহতের নাম হামিদা ওরফে ববিতা (৩২), তিনি উপজেলার ঘনিয়ারচর গ্রামের খলিল মিয়ার স্ত্রী।
জানা গেছে, বুধবার সকালে হামিদা তার সতীনের ছেলে সায়মন (১১) কে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করেন। এতে শিশুটির পেটের নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে প্রথমে হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় এবং পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে সায়মন চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা হামিদাকে আটক করে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। পুলিশ খবর পেয়ে বুধবার বিকেল ৫টার দিকে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। একই রাতে আহত সায়মনের চাচা স্বপন মিয়া বাদী হয়ে হামিদাকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করেন।
হোমনা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আবদুল করিম জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকালে হামিদাকে আদালতে হাজির করার কথা ছিল। তার সঙ্গে একটি ছোট শিশু থাকায় তাকে হেফাজতকেন্দ্রের বদলে থানার ‘নারী ও শিশু সহায়তা ডেস্ক’ কক্ষে রাখা হয়। সেখানে অন্য এক নারী আসামি ও একজন নারী গ্রাম পুলিশ পাহারাদার হিসেবে ছিলেন। এরই মধ্যে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সবার অগোচরে নিজের ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন।
থানা hidrািফত মৃত্যু বিষয়টি অত্যন্ত সংবেদনশীল হওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে অবহিত করা হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহের সুরতহাল সম্পন্ন করবেন। এরপর ময়নাতদন্তসহ প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আজকের খবর/ এমকে

