সাতদিন ধরে জীবনের জন্য লড়াই করে অবশেষে না ফেরার দেশে চলে গেলেন তরুণ নেতা শরিফ ওসমান হাদি। তিনি ছিলেন অভ্যুত্থানের একজন মূল সংগঠক ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক। গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত প্রায় ১০টা দিকে সিঙ্গাপুরের জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু ঘটে।
শরিফ ওসমান হাদির এই মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক এবং সমাজসেবামুখী ব্যক্তিত্বরা শোকপ্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে আগামী শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দেশের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছেন অনির্দিষ্ট সরকারি পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এর পাশাপাশি ঢাকায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসও গভীর শোক প্রকাশ করেছে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) মার্কিন দূতাবাস তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক শোকবার্তা প্রকাশ করে। এতে জানানো হয়, বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে একাত্ম হয়ে, তরুণ এই নেতার মৃত্যুতে তারা গভীর দুঃখপ্রকাশ করছেন। মার্কিন দূতাবাস তার পরিবার, বন্ধু এবং সমর্থকদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানায়।
প্রসঙ্গত, গত ১২ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার একদিন পর, রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্টের সড়কে মোটরসাইকেলে করে আসার সময় দুর্বৃত্তরা ওসমান হাদিকে গুলি করে। দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেল থেকে এসে তাকে খুব কাছ থেকে গুলি করে লক্ষ্য করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে তার পরিবারের ইচ্ছায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
তার অস্বস্তিকর পরিস্থিতি দেখে, সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন বৃহস্পতিবার রাত ১৮ ডিসেম্বর তিনি মারা যান।
তার মরদেহ সিঙ্গাপুর থেকে আজ (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় দেশে ফেরানো হচ্ছে। শনিবার তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। দেশের তরুণ এই নেতার মৃত্যুতে দেশজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে এবং নতুন করে রাজনৈতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া ছড়িয়ে পড়ে।

