গাজীপুর মহানগরীর ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের তালুকদার পুকুর পাড়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা ও উন্নত স্বাস্থ্য কামনায় এক বিশেষ কুরআন খতম ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। একইসঙ্গে তার রুহের মাগফিরাত ও শান্তির জন্যও দোয়া করা হয়েছে।
গাজীপুর মহানগর কৃষক দলের উদ্যোগে আয়োজিত এই দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠানে কয়েক হাজার নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ অংশ গ্রহণ করেন। মহানগর কৃষক দলের আহ্বায়ক মোঃ আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মইজউদ্দিন তালুকদার মারদেকর্তৃক পরিচালিত হয়। এই অনুষ্ঠানটি ব্যাপক জনসমাগম ও আবেগপূর্ণ পরিবেশে পরিণত হয়।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ডক্টর শহিদুজ্জামান, সাবেক সহ-সভাপতি আহমদ আলী রুশদি, মহানগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুরুজ আহমেদ, ২৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক আইনুদ্দিন তালুকদার, মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব মাহমুদ হোসান রাজু, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রোহানুজ্জামান শুক্কুর প্রমুখ। বক্তারা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য ও সুস্থতার জন্য দোয়া ও প্রার্থনা করেন এবং তার দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেন।
আলোচকরা বলেন, বেগম খালেদা জিয়া শুধু একজন রাজনৈতিক নেত্রীই নন, তিনি গণতন্ত্রের প্রতীক। তার সুস্থতা দেশ ও জাতির স্বার্থে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অনুষ্ঠানে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন গাজীপুর মহানগর ওলামা দলের আহ্বায়ক কাজী মোস্তফা কামাল খোকন। বিশেষ এই দোয়া ও মোনাজাতে দেশনেত্রীর রোগমুক্তি, দেশের শান্তি ও গণতন্ত্রের কল্যাণ কামনা করা হয়।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- ২৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি রহিম মোল্লা, গাজীপুর সদর মেট্রো থানার যুবদলের আহ্বায়ক নাজমুল খন্দকার সুমন, বাসন মেট্রো থানার স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মনসুর আহমেদ, বাসন মেট্রো থানার ওলামা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা জুবায়ের আলম, অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন সংগঠনের কর্মীরা।
বক্তারা ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই গণঅভ্যর্থানের সম্মুখ যোদ্ধা ওসমান হাদীর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দৃষ্টান্তমূলক দ্রুত বিচারের দাবি করেন।
দোয়া মাহফিল শেষে নেতাকর্মীরা বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও মুক্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন। শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এই ধর্মীয় ও সামাজিক আয়োজন এলাকার মানুষকে আবেগে আবদ্ধ করে, যা ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছে।

