দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়মিত পর্যালোচনা করতে গতকাল রবিবার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা সম্মেলন কেন্দ্রের এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে দেশের সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমানসহ বিভিন্ন নিরাপত্তা ও আইনশঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা। প্রধান আলোচনাগুলোর মধ্যে ছিল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে, আসন্ন বড়দিন ও ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনের জন্য নেওয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা, পাশাপাশি ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র এবং জুলাই যোদ্ধা শহিদ শরীফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও তদন্তের অগ্রগতি। পুলিশ সরাসরি বৈঠকে জানায়, সম্প্রতি রাজধানী ঢাকায় ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দুটি জাতীয় দৈনিক এবং দুটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ইতোমধ্যে ৩১ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে আজ (২২ ডিসেম্বর) সকাল পর্যন্ত বিভিন্ন অভিযানে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন— মো. কাশেম ফারুকি, মো. সাইদুর রহমান, রাকিব হোসেন, মো. নাইম, মো. সোহেল রানা এবং মো. শফিকুল ইসলাম। এছাড়াও, শনাক্ত হওয়া অপর সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো অব্যাহত রয়েছে। অন্যদিকে, চট্টগ্রামে ভারতের সহকারী হাইকমিশনারের বাসভবনের কাছে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি চেষ্টার ঘটনায় ভিডিও ফুটেজ দেখে তিনজনকে শনাক্ত করার তথ্যও বৈঠকে জানানো হয়। রবিবার বিকেলের এই বৈঠকে শহীদ শরীফ ওসমান হাদি হত্যা মামলার সঙ্গে জড়িত অন্যায় কর্মকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে কোনওভাবেই আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হওয়া চলবে না। তিনি আরও বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে যা যা প্রয়োজন, তার সবকিছু বাস্তবায়ন হবে। সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে যেন দেশের শান্তি ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয়। সূত্র: আজকের খবর/ এমকে

