১৪ ডিসেম্বর জিয়া হক লিখেছিলেন ‘হাদি তুই ফিরে আয়’ শিরোনামের একটি গান। আবু উবায়দার সুর ও কণ্ঠে এই গানটি দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করে। তখন হাদি এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন, মরহুমের জীবনসংগ্রাম চলছিল। ১৭ ডিসেম্বর প্রকাশিত হয় জিয়ার আরেকটি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে আদরে ভরা গান, ‘এই হাদি একা নয়, হাদি কোটি লক্ষ’। এবং পরদিন ১৮ ডিসেম্বর হাদির মৃত্যুর সংবাদ আসলে শোকের ছায়া নেমে আসে চারপাশে। শহীদ শরিফ ওসমান হাদির স্বপ্ন, সাহস এবং বিপ্লবী চেতনাকে ধারণ করে এবার সংগীতের মাধ্যমে নতুন ভাবে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়েছে সংগীতসঙ্গীরা। মুনাইম বিল্লাহর কণ্ঠে ইতিমধ্যে ইউটিউবে প্রকাশিত হয়েছে ‘কোটি হাদির ডাক’ শিরোনামের গানটি, যেখানে সুর করেছেন আবু উবায়দা।
নতুন এই গান সম্পর্কে মুনাইম বিল্লাহ বলেন, ‘কোটি হাদির ডাক শুধু একটি গান নয়, এটি একটি ইতিহাসের প্রতিধ্বনি এবং এক বিপ্লবের স্বাক্ষর। শরিফ ওসমান হাদির সাহস, চেতনা এবং সংগ্রামী মনোভাব এই গানের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, এই গান সাধারণ মানুষের মনেও গভীর দাগ কাটবে এবং হাদির স্মৃতিকে চিরকাল অম্লান করে রাখবে।’
অন্যদিকে, ব্যান্ড বাংলাদেশ রেবেলস তাদের দুটি গান ‘এ কোন লাশ যায় না চেনা’ ও ‘আমি হুংকার দিয়ে আসব’ হাদিকে উৎসর্গ করেছে। তারা ঘোষণা করেছে, এখন থেকে প্রতিটি সংগীত অনুষ্ঠানে তারা এই দুটো গান পরিবেশন করবে, যেন হাদির অবদান চিরদ্রুতলে স্মরণীয় হয়। ভোকাল মালিহা তাবাসসুম খেয়া বললেন, ‘হাদি ভাই ছিলেন এক বিশ্বস্ত দেশপ্রেমিক। আমাদের গান তিনি অনেক পছন্দ করতেন। ঢাকায় আমাদের সব শোতেই তিনি উপস্থিত থাকতেন। এই দুটি গান তিনি বারবার শোনাতে চাইতেন। তাই, এই গান দুটিকে উৎসর্গ করলাম। আমাদের ব্যান্ড এখন থেকে সব শোতে এই গান দুটো গেয়ে তার জন্য শ্রদ্ধা জানাবে।’

