আগামী ২৫ ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা উদ্বেগজনকভাবে জোরদার করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ ব্যাপারে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে দায়িত্ব পালন করে। ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশের মহাপরिदর্শক মো. বাহারুল আলম জানান, তারেক রহমানের নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ সদস্যরা পোশাকধারী ও সাদা পোশাক دونوں রূপে দায়িত্ব পালন করবে, এ ছাড়াও বিএনপির পক্ষ থেকেও আলাদা নিরাপত্তা ব্যাবস্থা রাখা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম জানান, তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে পর্যাপ্তসংখ্যক গোয়েন্দা পুলিশ মোতায়েন থাকবেন।
বিমানবন্দর থেকে গুলশান পর্যন্ত তারেক রহমানের যাতায়াতের জন্য নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। তাঁর বাসভবন ও কার্যালয়ের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঢাকা মহানগর পুলিশের সোয়াট টিমও প্রস্তুত রয়েছে।
এছাড়াও, রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানসহ পুরো মহানগরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিষ্ঠার সাথে কার্যকর থাকবে। জনসমাগমের আশঙ্কায় বিএনপি নেতা-কর্মীরা শান্তিপূর্ণ ও শৃঙ্খলাবদ্ধ থাকবেন, এ বিষয়ে দলের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এ কে এম শামছুল ইসলাম, যিনি নেতৃত্ব দেবেন চেয়ারপারসন সিকিউরিটিসহ একাধিক নিরাপত্তা টিমের। এর পাশাপাশি বিভিন্ন পর্যায়ে নিরাপত্তা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা হবে।
উল্লেখ্য, দেরি না করে প্রায় এক যুগ পর ২৫ ডিসেম্বর লন্ডন থেকে দেশে ফিরে আসছেন বিএনপির এই গুরুত্বপূর্ণ নেতা। তার এই প্রত্যাবর্তন দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক উত্তেজনা ও জনাকয়েকের জনসমাগমের কারণে দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষার পালা শুরু হয়েছে।

