২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দেশজুড়ে সোনার মূল্য আরও বৃদ্ধি পেয়েছে, যা একেবারেই নতুন এক রেকর্ড। সবচেয়ে উচ্চমানের বা ২২ ক্যারেটের সোনার প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) মূল্য ৪ হাজার ১৯৯ টাকা বেড়ে এখন ২ লাখ ২৬ হাজার ২৮২ টাকায় পৌঁছেছে। এর ফলে দেশের বাজারে সোনার দাম এত আগে কখনো এত বেশি ছিল না।
দেশীয় বাজারে তেজাবী বা পাকা সোনার দামের বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে এই নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) জানিয়েছে, এই দাম আগামী বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) থেকে কার্যকর হবে।
বাজারে দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বাজুসের স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটির বৈঠকে। পরে ওই কমিটির চেয়ারম্যান ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহীন স্বাক্ষরित এক বিজ্ঞপ্তিতে এই সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেওয়া হয়।
এর আগে, গতকাল (২২ ডিসেম্বর) সর্বোচ্চ মানের সোনার প্রতি ভরি দামে ৩ হাজার ৯৬৬ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছিল। এর আগে ১৬ ডিসেম্বর ১ হাজার ৪৭০ টাকা, ১২ ডিসেম্বর ১ হাজার ৫০ টাকা, ১৪ ডিসেম্বর ৩ হাজার ৪৪২ টাকা এবং ১২ ডিসেম্বর ১ হাজার ৫০ টাকা দামে এই সোনার মূল্য বাড়ানো হয়েছিল।
আন্তর্জাতিক বাজারের এই প্রবৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশের বাজারেও দাম আকাশ ছুঁয়েছে। এর ফলে, একেবারেই নতুন করে রেকর্ড ভাঙার দৃশ্য দেখছে দেশের সোনাচাষী ও বিক্রেতারা।
বর্তমানে, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের সোনার প্রতি ভরি নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ২৬ হাজার ২৮২ টাকা, যেখানে এর আগে ছিল ২ লাখ ২২ হাজার ৮৩ টাকা। ২১ ক্যারেটের সোনার দামও বৃদ্ধির পর ২ লাখ ১৬ হাজার ১৭ টাকা হয়েছে, পূর্বে ছিল ২ লাখ ১১ হাজার ৯৯৩ টাকা।
অন্যদিকে, ১৮ ক্যারেটের সোনার দাম ৩ হাজার ৪৪১ টাকা বর্ধিত হয়ে এখন ১ লাখ ৮৫ হাজার ১৬৬ টাকায় পৌঁছেছে। সনাতন পদ্ধতির অর্থাৎ সাধারণ আইনের অনুযায়ী এক ভরি সোনার মূল্য এখন ১ লাখ ৫৪ হাজার ৩১৫ টাকা, যা আগে ছিল এই দামের থেকে ২ হাজার ৯১৬ টাকা বেশী।
অন্য দিকে, মেটাল দামের এই উন্নতির সঙ্গে সঙ্গেই রূপার দামেরও বৃদ্ধি ঘটেছে। ২২ ক্যারেটের রুপার এক ভরির দাম ১৭৫ টাকা বাড়িয়ে ৫ হাজার ১৩২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া, ২১ ক্যারেটের রুপার দাম ১৭৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৪ হাজার ৮৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের রুপার দাম ১১৭ টাকা বাড়িয়ে ৪ হাজার ১৯৯ টাকা এবং সাধারণ পদ্ধতিতে এক ভরি রুপার দাম ১১৬ টাকা বাড়িয়ে ৩ হাজার ১৪৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সর্বশেষ এই দাম দাবি ও বিক্রির কার্যক্রম চলমান থাকলেও, বিশ্লেষকদের মতে, দাম বৃদ্ধির এই ধারা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকতে পারে। দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও আন্তর্জাতিক বাজারের ট্রেন্ডের সঙ্গে সমন্বয় করেই মূল্য নির্ধারণ করা হচ্ছে।
আজকের খবর, বিএস

